পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দশম আসরের ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়েছে গত সোমবার। সেখানে দল পেয়েছেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার- লিটন দাস, রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা।  

পিএসএলের এবারের আসরে করাচি কিংসের হয়ে খেলবেন লিটন দাস, লাহোর কালান্দার্সে জায়গা পেয়েছেন রিশাদ হোসেন এবং পেশোয়ার জালমিতে খেলবেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। ড্রাফটে বাংলাদেশের ৩৯ জন ক্রিকেটারের নাম উঠলেও দল পেয়েছেন কেবল এই তিনজন।  

ড্রাফটের গোল্ড ক্যাটাগরিতে থাকা নাহিদ রানা এবার বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাবেন। গোল্ড ক্যাটাগরিতে থাকা খেলোয়াড়রা ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ লাখ টাকার সমপরিমাণ।  

লিটন দাস ও রিশাদ হোসেন ড্রাফটের সিলভার ক্যাটাগরিতে দল পেয়েছেন। এই ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা ২৫ হাজার মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা আয় করবেন।  

ড্রাফটে বাংলাদেশের দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে। কিন্তু তাদের প্রতি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ দেখায়নি। প্লাটিনাম ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ মার্কিন ডলার আয় করেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সোয়া এক কোটি টাকার মতো।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

এবার রিশাদের ২ উইকেট ও ২ রান, রান উৎসবের ম্যাচে হেরে গেল লাহোর

পিএসএলে নিজের প্রথম দুই ম্যাচে তিনটি–তিনটি করে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। তাঁর দারুণ বোলিং লাহোর কালান্দার্সকে জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিল। আজও ২ উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের লেগ স্পিন অলরাউন্ডার। তবে ছিলেন বেশ খরুচে; ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৫ রান।

অবশ্য শুধু রিশাদ কেন, রান উৎসবের ম্যাচে বেশিরভাগ বোলারই আজ কঠিন সময় পার করেছেন। তবে ম্যাচ শেষে হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে মুলতান সুলতানস। রিশাদের লাহোরকে তারা হারিয়েছে ৩৩ রানে।

এবারের পিএসএলে নিজেদের মাঠ মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এটিই মুলতানের প্রথম ম্যাচ। নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচ হারা দলটি এ রাতেই পেল প্রথম জয়।

ওপেনার ইয়াসির খানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে (৬টি করে চার ও ছক্কায় ৪৪ বলে ৮৭) ২২৮ রানের পাহাড় গড়েছিল মুলতান। জবাবে লাহোর ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৫  রানে থামে। ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লাহোরকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন উবাইদ শাহ। মুলতানের পেসার উবাইদের আরেক পরিচয় পাকিস্তান জাতীয় দলের ফাস্ট বোলার নাসিম শাহর ছোট ভাই।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৭৯ রান তুলে ফেলেছিল মুলতান, যা এবারের পিএসএলে পাওয়ারপ্লেতে দলীয় সর্বোচ্চ। সপ্তম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে আসেন রিশাদ, দেন ১০ ওভার। ১২তম ওভারে আবার বোলিংয়ে ফিরে দেন ১২ রান।

তবে নিজের শেষ দুই ওভারে ২ উইকেট নেন রিশাদ। এই দুই ওভারে আরও ২৩ রান দিলেও আউট করেন উসমান খান আর অ্যাস্টন টার্নারকে। এরপরও মুলতানের রানের লাগাম টানা সম্ভব হয়নি। হারিস রউফ ও শাহিন আফ্রিদি আজ দেদারসে রান বিলিয়েছেন। শেষ দিকে ইফতিখার আহমেদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২২৮ রান করে ফেলে স্বাগতিকেরা।

কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ারপ্লেতে দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও ফখর জামানের উইকেট হারায় লাহোর কালান্দার্স। দলীয় ৮৭ রানের মধ্যে হারায় প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে।

এরপরেই ব্যাটিংয়ে নামেন রিশাদ। আগের দুই ম্যাচে আটে ও সাতে নামা এই অলরাউন্ডার আজ আরও এক ধাপ ওপরে উঠে এসে ব্যাট করলেও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। ২ বলে ২ রান করে লেগ স্পিনার উসামা মিরের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন।

তবু লাহোরের জয়ের কিঞ্চিৎ আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন স্যাম বিলিংস ও সিকান্দার রাজা। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। দুজনের ঝোড়ো ব্যাটিং শুধু লাহোরের হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। রিশাদদের পরের ম্যাচ বৃহস্পতিবার বাবর আজমের পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর

মুলতান সুলতানস: ২০ ওভারে ২২৮/৫ (ইয়াসির ৮৭, ইফতিখার ৪০*, উসমান ৩৯, রিজওয়ান ৩২; রিশাদ ২/৪৫, রাজা ১/১৫, আসিফ ১/২৬, আফ্রিদি ১/৪৩)।

লাহোর কালান্দার্স: ২০ ওভারে ১৯৫/৯ (রাজা ৫০*, বিলিংস ৪৩, ফখর ৩২; উবাইদ ৩/৩৭, ব্রেসওয়েল ২/২০, উসামা ২/২৬)।

ফল: মুলতান সুলতানস ৩৩ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইয়াসির খান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এবার রিশাদের ২ উইকেট ও ২ রান, রান উৎসবের ম্যাচে হেরে গেল লাহোর