জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার সীমান্ত উত্তেজনা চললেও বাণিজ্যিক স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা গেছে দুই দেশের মাঝে। দেশটি থেকে ডিজেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি অনুমোদিত এক সিদ্ধান্তের আলোকে শিগগিরই ভারত থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ। এতে খরচ হবে ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পো‌রেশনের (বিপিসি) পরিচালনা পর্ষদের সভায় ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এই ডিজেল আমদানি করা হবে।

এ বছর বিপিসির পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ৭৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৪৬ লাখ টন ডিজেল, যার ৮০ শতাংশই সরাসরি আমদানি করা হয়ে থাকে। আর বাকি অংশ স্থানীয় শোধনাগার থেকে পাওয়া যায়। মূলত বিপিসি নিয়মিতভাবে ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এই তেল ট্রেনে করে বাংলাদেশে আসছে।

এর আগে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন অ-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটির পর প্রাণ ফিরল বাংলাবান্ধা বন্দরে

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আটদিন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর বন্ধ থাকার পর আজ রোববার সকাল থেকে শুরু হয়েছে বন্দরের কার্যক্রম।

বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহীন। তিনি বলেন,গত ২৯ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মোট আটদিন ব্যবসায়িক সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। আজ রোববার সকাল থেকে বন্দরের সকল কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে।

বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের সাব ইন্সপেক্টর ফিরোজ কবীর জানান, ঈদের টানা আটদিন ছুটিতে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ