যাঁরা ভ্রূণ বা শিশুসন্তানের মৃত্যুর কঠিন পরীক্ষা এবং কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, আল্লাহ তাঁদের সবার কষ্টকে সহজ করে দেন। হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)-এর বরাতে একটি সুন্দর হাদিস পাওয়া যায়। নবী (সা.) বলেছেন, সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! গর্ভপাত হওয়া সন্তানের মা তাতে সওয়াব আশা করলে ওই সন্তান নিজের নাভিরজ্জু তাঁকে টেনে জান্নাতে নিয়ে যাবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬০৯)

আরও পড়ুনইসলামে প্রবীণদের প্রতি কর্তব্য১৬ আগস্ট ২০২৩

প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই যারা মারা গেছে, অর্থাৎ যারা অকালমৃত, শেষ বিচারের দিন বাবা–মায়ের সুপারিশের জন্য সেসব শিশুরাও থাকবে। এ প্রসঙ্গে রাসুল (সা.

) বলেছেন, বিচার দিবসে আল্লাহ এসব শিশুদের বলবেন: তোমরা সবাই জান্নাতে প্রবেশ করো। তারা বলবে, হে আমাদের প্রভু আমাদের মা–বাবা আমাদের সঙ্গে আসবেন। আল্লাহ বলবেন এসব শিশুরা কেন দ্বিধাগ্রস্ত, কেন তারা জান্নাতে যেতে দ্বিধা করছে? তখন এসব শিশুরা মা–বাবাকেও তাদের সঙ্গে জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবদার করবে। তখন আল্লাহ বলবেন, তাদের মা–বাবাকেও জান্নাতে নাও। এই সাফায়াত সেসব মা–বাবার জন্য, যাঁরা তাঁদের শিশুসন্তান মারা যাওয়ার পরও ধৈর্যধারণ করেছেন। অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাত হওয়া ভ্রূণের জন্যও তা প্রযোজ্য।

আরও পড়ুনসুরা ইয়াসিনের সুগভীর মরতবা১৫ আগস্ট ২০২৩

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ