বরিশাল নগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
Published: 14th, January 2025 GMT
দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে জনভোগান্তি সৃষ্টির জন্য বরিশাল নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান (ফারুক) ও সদস্যসচিব জিয়া উদ্দীন সিকদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
গতকাল সোমবার দলের জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তাঁদের এই নোটিশ দেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে আপনারা বরিশাল বিমানবন্দর থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে নগরে প্রবেশ করেছেন। আপনাদের এমন কর্মকাণ্ড দলীয় শৃঙ্খলার চরম বরখেলাপ। এ জন্য আপনাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা–ও লিখিত আকারে জানাতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা চিঠি পেয়েছি, জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
ত শনিবার দুপুরে উড়োজাহাজযোগে ঢাকা থেকে বরিশাল আসেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ও সদস্যসচিব জিয়া উদ্দীন সিকদার। তাঁদের সঙ্গে দলের আরও দুজন যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এ সময় বিমানবন্দর থেকে তাঁদের সমর্থক নেতা-কর্মীরা অন্তত ২০০ মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা করে তাঁদের নগরের সদর রোডে দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এতে নগরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরে তাঁরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন। সেখানে মনিরুজ্জামান খান সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। এ নিয়ে গত রোববার প্রথম আলোর ছাপা সংস্করণে ‘নতুন কমিটি ও পদবঞ্চিত নেতাদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’