লায়লাকে হত্যাচেষ্টা: প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি পেছাল
Published: 14th, January 2025 GMT
লায়লা আখতারকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে এ মামলায় চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল।
এদিন মামুন ও লায়লা আদালতে হাজির হন। মামুনের পক্ষে আইনজীবী চার্জ শুনানি পেছাতে সময় চেয়ে আবেদন করেন। তবে, বাদীপক্ষের আইনজীবী চার্জ শুনানির আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেন।
২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন লায়লা আখতার। মামলায় অভিযোগ করা হয়, প্রিন্স মামুনের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় লায়লার। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের সম্মতিতে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়। তখন থেকে প্রিন্স মামুন লায়লার বারিধারা ডিওএইচএসের বাসায় বাস করতে থাকেন। এরপর থেকে প্রিন্স মামুন বিভিন্ন অজুহাতে লায়লার কাছ থেকে টাকা নিতেন। প্রায়ই মাদক সেবন করে গভীর রাতে বাসায় আসতেন মামুন। অশ্লীল ভাষায় কথা বলতেন। এমনকি মাঝে-মধ্যে লায়লাকে মারপিট করতেন। বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি আদায়ের পাঁয়তারা করতেন মামুন। ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর উত্তরায় একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বাসায় ফেরেন তারা। এ সময় মামুনসহ আরও দুজন মদপানের জন্য মিরপুরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। লায়লা তাকে নিষেধ করেন এবং বাধা দেন। এতে মামুন উত্তেজিত হয়ে লায়লাকে গালি দেন। গালি দিতে নিষেধ করলে মামুন লায়লাকে মারধর করেন ও হত্যার চেষ্টা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। ওই বছরের ৩ জুন অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। পলাতক থাকায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরদিন ৪ জুন মামুন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সালমান এফ রহমানের আইনজীবীদের তোপের মুখে সাংবাদিকরা
আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের আইনজীবীদের তোপের মুখে পড়েছেন সাংবাদিকেরা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
এদিন বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ড শুনানির জন্য সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ কুমার আগারওয়াল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ কয়েকজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
সকাল ১০ টার দিকে আসামিদের হাজতখানা থেকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে তোলা হয়। সালমান এফ রহমান ও অন্য আসামিদের আইনজীবীরা কাঠগড়ার পাশে গিয়ে ঘিরে ধরেন। সালমান এফ রহমানসহ সব আসামি তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। বিচারক ১০টা ১২ মিনিটে এজলাসে ওঠেন।
এ সময় নিম্ন আদালতে পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকরা সালমান এফ রহমানের আইনজীবীদের তোপের মুখে পড়েন। সাংবাদিকরা কেন এজলাস কক্ষে আছেন, এ প্রশ্ন তোলেন আইনজীবীরা। এরপর ছবি ও ভিডিও করার অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের হেনস্তা করে এজলাস কক্ষে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা বলেছেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকতা করছি। দুই দিন আগে আইনজীবীদের কাছে সালমান এফ রহমানসহ বিভিন্ন আসামির বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের বার্তা দেওয়ার নিউজ করেন সাংবাদিকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ সব সাংবাদিককে নজরে রাখেন সালমান এফ রহমানের আইনজীবীরা। এজলাস কক্ষে সাংবাদিক আছে কেন, প্রশ্ন তোলাসহ ছবি ও ভিডিও করার মিথ্যা অভিযোগ তুলে আদালত প্রাঙ্গণ অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।”
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেছেন, “সাংবাদিকরা এখানে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। আইনজীবীরা কেন বাধা দেবেন? আজকের ঘটনা কী হয়েছে, দেখিনি। সামনের দিন থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কেউ যেন এ ধরনের আচরণ না করেন, এ বিয়ষটি দেখব।”
ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম বলেছেন, “ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়। যেসব আইনজীবী সাংবাদিকদেরকে হেনস্তা করেছেন, তাদের নাম দিলে আমরা ঢাকা আইনজীবী সমিতি থেকে ন্যায়বিচার করব। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যা যা করার দরকার, আমরা করব। সেই আইনজীবীদের নাম্বার আমাদের কাছে দেন।”
ঢাকা/মামুন/রফিক