৪ দিনে রাম চরণ-কিয়ারার সিনেমার আয় ১৮২ কোটি টাকা
Published: 14th, January 2025 GMT
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার মেগাস্টার রাম চরণ। তার বড় বাজেটের নতুন সিনেমা ‘গেম চেঞ্জার’। ২০২১ সালের শেষ লগ্ন থেকে আলোচনায় এই সিনেমা। তার বিপরীতে রয়েছেন কিয়ারা আদভানি। গত ১০ জানুয়ারি বিশ্বের ৬ হাজার ৬০০ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এটি। দুই হাজার পঁচিশে এই দুই তারকার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা এটি।
পলিটিক্যাল-ড্রামা ঘরানার সিনেমাটিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাম চরণ। মুক্তির পর সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। মুক্তির পর বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলে এটি। যদিও আয়ের অঙ্ক ওঠানামা করছে। চার দিনে কত টাকা আয় করছে রাম-কিয়ারার আলোচিত এই সিনেমা?
স্যাকনিল্ক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চার দিনে ‘গেম চেঞ্জার’ শুধু ভারতে আয় করেছে ১০৫.
আরো পড়ুন:
কত টাকা আয় করল রাম চরণ-কিয়ারার ‘গেম চেঞ্জার’?
৩৬ দিনে ‘পুষ্পা টু’ সিনেমার আয় ২৪৩৬ কোটি টাকা
বলিমুভিরিভিউজ ডটকমের তথ্য অনুসারে, ‘গেম চেঞ্জার’ চার দিনে বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ১৬২ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২২৬ কোটি টাকার বেশি)।
৪০০-৫০০ কোটি রুপি বাজেট নিয়ে এস. শঙ্কর নির্মাণ করছেন ‘গেম চেঞ্জার’ সিনেমা। এতে পাঁচটি গান ব্যবহার করেছেন নির্মাতারা। এই পাঁচ গানে ব্যয় হয়েছে ৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকার বেশি)।
রাম চরণ-কিয়ারা ছাড়াও সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— অঞ্জলি, জয়রাম, সুনীল, শ্রীকান্ত, নবীন চন্দ্র প্রমুখ।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কার-নির্বাচনের খেলা বাদ দিয়ে বিচার করুন: সারজিস
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, সংস্কার না নির্বাচন আপনারা এই খেলা বাদ দিয়ে বিচার নিশ্চিত করুন। বর্তমান সরকারের বৈধতা হচ্ছে শহীদরা। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের হত্যাকাণ্ডের বিচারের আগে বাংলাদেশে কোনো কিছু প্রাসঙ্গিক হতে পারে না।
শুক্রবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সমাবেশে এ কথা বলেছেন তিনি। ‘জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে’ এই সমাবেশের আয়োজন করে ইনকিলাব মঞ্চ।
শাহবাগে এই উন্মুক্ত প্রান্তরে তারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছেন, সেটা ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে পূরণ হওয়ার কথা ছিল বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন সারজিস আলম। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই তাদের কাছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কথা বলি, তারা আমাদের পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির দোহাই দেয়।’
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘যখন শাপলা চত্বর, পিলখানা এবং জুলাইয়ে হাজারো মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কোথায় ছিল?’
তবে সারজিস আলম তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নিয়ে এই অবস্থান ব্যক্তকারী হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা উপদেষ্টা কিংবা পশ্চিমা কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।
এ সময় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে সারজিস বলেছেন, ‘এই জেনারেশনকে (প্রজন্ম) ভয় করুন। যদি এই জেনারেশনের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আবেগ নিয়ে খেলা করেন, তাহলে এই জেনারেশন সকল ক্ষমতার বিপক্ষে গিয়ে যে কাউকে টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাতে পারে।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির সঞ্চালনায় সভায় শহীদ পরিবার এবং আহতরা, এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, আপ বাংলাদেশের সংগঠক আলী আহসান জুনায়েদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি শেখ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশ থেকে চারটি দাবি জানানো হয়। এগুলো হলো- আগামী ১০০ দিনের মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশ, আদালতের রায় ও রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। শাপলা চত্বরের ঘটনার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সহায়তায় একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে; পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে গঠিত কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং দেশের সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে স্পষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।