ভারতে রুপির দরপতনের সঙ্গে পড়ছে শেয়ারবাজার
Published: 14th, January 2025 GMT
দ্বিমুখী সংকটে পড়েছে ভারতের অর্থনীতি। একদিকে দেশটির মুদ্রা রুপির দরপতন হচ্ছে, আরেক দিকে দেশটির শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণে বিদেশি মুদ্রা বেরিয়ে যাচ্ছে। গতকাল সোমবার উভয় ক্ষেত্রেই ধস নেমেছে। এ নিয়ে দেশটির সংশ্লিষ্ট মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। খবর ইকোনমিক টাইমসের
রুপির মান আবারও রেকর্ড পড়েছে; উত্থানের দিক থেকে নয়, পতনের দিক থেকে। গতকাল রুপির বিপরীতে ডলার ৬৬ পয়সা বেড়ে ৮৬ দশমিক ৭০ রুপি হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, আজকালের মধ্যেই তা ৮৭-তে উঠবে কি না। গত দুই বছরে এক দিনে রুপির এতটা দরপতন হয়নি। একই সঙ্গে গতকাল ভারতের শেয়ারবাজারেরও পতন হয়েছে। সেনসেক্স ১ হাজার ৪৯ দশমিক ৯০ পয়েন্ট নেমে ফিরেছে ৭৬ হাজারের ঘরে; স্থির হয়েছে ৭৬ হাজার ৩৩০ পয়েন্টে। টানা চারটি লেনদেনে সূচক পড়েছে মোট ১ হাজার ৮৬৯ পয়েন্ট। বাজার মূলধন কমেছে ২৪ দশমিক ৬৯ লাখ কোটি রুপির।
আজ অবশ্য রুপির দর কিছুটা বেড়েছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় প্রতি ডলারে পাওয়া যাচ্ছিল ৮৬ দশমিক ৫৩ রুপি। এ ছাড়া শেয়ার সূচকও বেড়েছে। সেনক্সেক ও নিফটি উভয়ই সকালের অধিবেশনে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।
২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, ট্রাম্প নানা রকম বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন। মূলত চীনকে লক্ষ্য করে তিনি এসব করবেন তা ঠিক, কিন্তু তাতে ভারতেরও অসুবিধা হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে ভারতের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়েছে। সূচকের পতনের এটাই মূল কারণ বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
রুপির দরপতনের সঙ্গে এই শেয়ার বিক্রির যোগ আছে বলেই বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রুপির মান রেকর্ড নিচে নেমেছে। সেই সঙ্গে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছে; আমদানিকারকদের ডলার লাগছে বেশি। অনেকে অনিশ্চয়তার মধ্যে বিনিয়োগের জন্য ডলারকে বেছে নিচ্ছেন। এত দিক দিয়ে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ডলারের বিনিময় হার বাড়ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতের রপ্তানিকারকদের সংগঠন ফিয়ো বলছে, ডলারের সাপেক্ষে মুদ্রার পতনের হার অন্যান্য দেশে আরও বেশি। গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতীয় রুপির দর কমেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। মালয়েশিয়ার রিঙ্গিতের দাম কমেছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ, ফিলিপিনসের পেসোর ৩ দশমিক ৮ শতাংশ, সিঙ্গাপুর ডলারের ৪ দশমিক ১ শতাংশ ও জাপানি ইয়েনের ৮ শতাংশ।
ভারতের বিভিন্ন মহলের দাবি, শীর্ষ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করছিল বলেই অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার দরপতন হয়েছে কম। গতকাল থেকে তারা ডলার বিক্রি কমিয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, অনেক পণ্য তৈরিতে আমদানি করা কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়। রুপির বিনিময় হার হ্রাস পাওয়ায় এসব পণ্যের আমদানির খরচ বাড়বে। ফলে এসব দিয়ে প্রস্তুত পণ্যের দামও কমবে। ভারত বিদেশ থেকে ভোজ্যতেলও কেনে। তবে আরবিআইয়ের পক্ষেও ডলার ছেড়ে রুপির দরপতন থামানো মুশকিল। এতে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার দুর্বল হয়। এতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্লে অফে রিয়াল-ম্যানসিটি মুখোমুখি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির খারাপ সময় যেন শেষই হচ্ছে না। নতুন ফরম্যাটের গ্রুপ পর্বে খারাপ সময় পার করেছে দু’দলই। ম্যানসিটি গ্রুপের শেষ ম্যাচে জিতে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে।
রিয়াল মাদ্রিদের প্লে অফে উঠতে খুব বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। তবে সেরা আটে থেকে সরাসরি শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে পারেনি কার্লো আনচেলত্তির দল।
সেরা আটে থাকতে না পারার শাস্তিই যেন পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেরা ষোলোয় যাওয়ার লড়াইয়ে প্লে অফ খেলতে হবে রিয়ালের। ওই লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে পেয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা।
আগামী ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে অফের প্রথম লেগ মাঠে গড়াবে। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াবে প্লে অফের দ্বিতীয় লেগ। শেষ ষোলোর লড়াই ৪ ও ৫ মার্চ এবং ১১ ও ১২ মার্চ মাঠে গড়াবে।
কোয়ার্টার ফাইনাল হবে ৮ ও ৯ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় লেগ হবে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল। এছাড়া ২৯ ও ৩০ এপ্রিল সেমিফাইনালের প্রথম লেগ এবং ৬ ও ৭ মে দ্বিতীয় লেগ মাঠে গড়াবে। ৩১ মে হবে ফাইনাল।