গণ–অভ্যুত্থানের পরেও প্রবাসীরা কেন উপেক্ষিত
Published: 14th, January 2025 GMT
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি পরিবর্তনশীল মুহূর্ত হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ অভ্যুত্থান ন্যায়বিচার ও সংস্কারের জন্য একটি সম্মিলিত দাবি জানাতে ছাত্র, সাধারণ জনগণ, শ্রমিক, অভিবাসী এবং প্রবাসীদের একত্রিত করেছিল। এই গণ–অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের অভিবাসী কর্মী এবং প্রবাসী সম্প্রদায়ের অবদান ছিল অসাধারণ। তাঁরা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘লাইফলাইন’ হিসেবে রেমিট্যান্স কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেন এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে গণ–অভ্যুত্থানের দাবি জোরালো করতে বৈশ্বিক বিক্ষোভ সংগঠিত করেছিল।
জাতির ভবিষ্যৎ গঠনে তাঁদের এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সত্ত্বেও অভিবাসন এবং প্রবাসীদের ইস্যু প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অ্যাজেন্ডায় দৃশ্যমান নয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জামায়াতে ইসলামী তাদের রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা এবং ৪১ দফা সংস্কার পরিকল্পনা পেশ করেছে। তাদের অ্যাজেন্ডায় সংবিধান–বিচার বিভাগ–নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারের বিষয়গুলো থাকলেও অভিবাসন বা প্রবাসীদের ইস্যু অন্তর্ভুক্ত নেই। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। অভিবাসন ও প্রবাসীদের ইস্যুর সম্পৃক্তি কোনো গৌণ বিষয় নয়, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি, সামাজিক কাঠামো এবং জাতীয় পরিচয়ের একটি ভিত্তি।
জাতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ডের প্রতি ‘বিশ্বাসঘাতকতা’
রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা থেকে অভিবাসন ও প্রবাসীদের ইস্যু বাদ দেওয়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার মূল ভিত্তিকে দুর্বল করে। প্রতিবছর ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স প্রেরণকারী অভিবাসী কর্মীরা দেশের জিডিপির ৬ শতাংশের বেশি অবদান রাখেন, যা বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম বৃহৎ উৎস। এই অর্থ লাখো পরিবারকে টিকিয়ে রাখে, দারিদ্র্য হ্রাস করে এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে অর্থায়ন করে। এ খাতকে উপেক্ষা করার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ডকে অবজ্ঞা করছে।
অভিবাসনকে উপেক্ষা করা নিছক একটি ভুল নয়—এটি এমন লাখো কর্মীর প্রতি একটি সক্রিয় অবহেলা, যাঁরা তাঁদের পরিবার ছেড়ে বিদেশে কঠোর পরিশ্রম করে দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করেন। যখন রাজনৈতিক নেতারা তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মনোযোগ দেন এবং অভিবাসীদের অবদান উপেক্ষা করেন, এটি একটি বড় বিশ্বাসঘাতকতার চেয়ে কম কিছু নয়।
বিশাল ভোটার ভিত্তি থেকে বিচ্ছিন্নতা
অভিবাসন কোনো বিমূর্ত ধারণা নয়—এটি বাংলাদেশের চার কোটির বেশি মানুষের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলে। অভিবাসী পরিবারের সদস্যরা ভোটারদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গঠন করে। তাদের উদ্বেগগুলো উপেক্ষা করে রাজনৈতিক দলগুলো এমন একটি জনগোষ্ঠী থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে, যারা ঐতিহাসিকভাবে অবহেলিত কিন্তু গ্রামীণ এবং আধা-শহুরে এলাকায় অত্যন্ত প্রভাবশালী।
রাজনৈতিক নেতাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে অভিবাসী পরিবারের কণ্ঠস্বর উপেক্ষা করা কেবল ভোটের হিসেবে নেতিবাচক নয়, বরং এমন একটি গোষ্ঠীকে আরও প্রান্তিক করবে, যারা ইতিমধ্যেই দেশের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। এই উপেক্ষা তাদের অবদান এবং ত্যাগের প্রতি একটি বড় অবমাননা।
গণ–অভ্যুত্থানের চেতনার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা
২০২৪ সালের জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থান ছিল একটি সংজ্ঞায়িত মুহূর্ত যা ন্যায়বিচার, সমতা এবং সংস্কারের জন্য ছাত্র, শ্রমিক এবং প্রবাসীদের একত্র করেছিল। অভিবাসী এবং প্রবাসী সম্প্রদায় তাদের রেমিট্যান্স প্রবাহ বন্ধ করে এবং বিক্ষোভ সংগঠিত করে অভ্যুত্থানের বার্তাকে শক্তিশালী করে। তাদের অংশগ্রহণ এমন একটি শাসনব্যবস্থাকে উৎখাত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা জনগণের সঙ্গে সম্পর্কহীন হয়ে পড়েছিল।
অভিবাসন এবং প্রবাসীদের ইস্যু উপেক্ষা করে রাজনৈতিক দলগুলো সেই অন্তর্ভুক্তি ও ঐক্যের চেতনার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করছে, যা গণ–অভ্যুত্থানকে সংজ্ঞায়িত করেছিল। যাঁরা এই সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাঁদের বাদ দিয়ে নেতারা কীভাবে অভ্যুত্থানের আদর্শ ধরে রাখার দাবি করতে পারেন?
অভিবাসন নীতি উপেক্ষা থেকে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ঝুঁকি
একটি সুনির্দিষ্ট অভিবাসন নীতির অভাব বাংলাদেশকে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে ফেলেছে, যা জাতীয় স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতিকে বিপন্ন করেছে। বছরে ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাওয়া সত্ত্বেও হুন্ডির মতো অনানুষ্ঠানিক ব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা কয়েক বিলিয়ন ডলারকে আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। এটি অর্থনীতিকে দুর্বল করার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে মাদক ও মানব পাচারের মতো অবৈধ কার্যক্রমকে উসকে দেয়।
এ ছাড়া অনিয়ন্ত্রিত নিয়োগপ্রক্রিয়া অভিবাসী কর্মীদের জন্য অত্যধিক ব্যয় বাড়িয়ে দেয় এবং অনেক পরিবারকে ঋণের চক্রে ফেলে। পাশাপাশি বাংলাদেশ অভিবাসনের জন্য কয়েকটি নির্দিষ্ট গন্তব্য দেশের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল, যা এই সম্পর্কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে অর্থনৈতিক ধাক্কা সৃষ্টি করতে পারে। রাজনৈতিক নেতারা এই গুরুতর সমস্যাগুলো সমাধান করতে ব্যর্থ হলে এটি শুধু রেমিট্যান্স স্থিতিশীলতাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, বরং তাদের জাতীয় উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাঁকও তুলে ধরে।
প্রবাসীদের সম্ভাবনা উপেক্ষা
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার মতো দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা জাতীয় উন্নয়নের জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনা ধারণ করেন, যা এখনো সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। তাঁদের সম্ভাবনা অর্থনৈতিক বিনিয়োগ, বৈশ্বিক লবিং এবং জ্ঞান বিনিময় পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা ও নিরাপদ বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করা হলে, প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে পারেন।
প্রবাসীরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় সফলভাবে লবিং করেছেন, বাণিজ্য চুক্তি ও কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছেন। প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মতো ক্ষেত্রের দক্ষ পেশাজীবীরা সংগঠিত প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেন। তবে প্রবাসী সম্পৃক্তি উপেক্ষা করার মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতারা এ সম্ভাবনাগুলো নষ্ট করছেন এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক অবস্থানকে দুর্বল করছেন। এটি শুধুই একটি ক্ষুদ্র দৃষ্টি নয়, এটি অগ্রহণযোগ্য অবহেলা।
অভিবাসীদের উপেক্ষা মানে মানবাধিকারের প্রতি অবজ্ঞা
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা অভিবাসী কর্মীরা প্রায়ই বিদেশে নাজুক পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। তাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে কম মজুরিতে কাজ করেন, নিম্নমানের বাসস্থানে থাকেন এবং বিশেষ করে নারী কর্মীরা শোষণ ও নির্যাতনের শিকার হন। তাঁদের অধিকার রক্ষায় শক্তিশালী নীতির অনুপস্থিতি তাঁদের মৌলিক মানবিক মর্যাদা ও ত্যাগকে উপেক্ষা করে। এ ইস্যুগুলো সমাধান করতে ব্যর্থ হলে রাজনৈতিক দলগুলো শুধুই একটি সামাজিক-অর্থনৈতিক বাস্তবতাকে অবহেলা করছে না, বরং শোষণের জন্য দায়ী হয়ে পড়ছে। অভিবাসীদের কল্যাণ ও অধিকার নিশ্চিত করা শুধু একটি নীতিগত প্রয়োজন নয়, এটি একটি নৈতিক দায়িত্ব।
অন্যান্য দেশের শিক্ষা ও বাংলাদেশের জন্য প্রাসঙ্গিক দৃষ্টান্ত
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে যারা গণ–অভ্যুত্থান বা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গেছে, তারা অভিবাসন ও প্রবাসীদের ইস্যুগুলোকে কৌশলগতভাবে তাদের জাতীয় অ্যাজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। ২০১১ সালে আরব বসন্তের পর তিউনিসিয়া একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। তারা অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষার জন্য শক্তিশালী নীতি প্রণয়ন করেছে এবং একই সঙ্গে দক্ষ পেশাজীবীদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল।
ফিলিপাইন একটি বিশ্বনন্দিত উদাহরণ, যারা অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় সাফল্যের শীর্ষে রয়েছে। তাদের ‘বালিক সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রাম’ একটি মাইলফলক, যা প্রবাসী দক্ষ পেশাজীবীদের জাতীয় উন্নয়নে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়। পাশাপাশি ওভারসিজ ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীদের আর্থিক সহায়তা, প্রশিক্ষণ এবং পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
প্রবাসীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত প্রণয়ন করেছে ‘প্রবাসী ভারতীয় দিবস’ এবং ওভারসিজ সিটিজেন অব ইন্ডিয়া স্কিম। এসব উদ্যোগ শুধু প্রবাসীদের বিনিয়োগ এবং জ্ঞান আদান-প্রদানে উৎসাহিত করেনি, বরং ভারতের বৈশ্বিক অবস্থানকেও শক্তিশালী করেছে।
এই উদাহরণগুলো দেখায়, অভিবাসন ও প্রবাসী সম্পৃক্তি কেবল একটি অর্থনৈতিক কৌশল নয়, এটি একটি দেশের দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি, কূটনৈতিক প্রভাব ও জাতীয় ঐক্যের জন্য অপরিহার্য উপাদান। বাংলাদেশের জন্য এই দৃষ্টান্তগুলো একটি সুস্পষ্ট শিক্ষা দেয়—অভিবাসন ইস্যুতে কৌশলগত বিনিয়োগ ও প্রবাসীদের সঙ্গে গভীর সম্পৃক্তি নিশ্চিত করে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণ সম্ভব।
রাজনৈতিক দলগুলোর অ্যাজেন্ডায় যা অন্তর্ভুক্ত হতে পারে
প্রথমত, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের রাষ্ট্র সংস্কারে ও নির্বাচনী ইশতেহারে স্পষ্টভাবে অভিবাসন এবং প্রবাসী সম্পৃক্তিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এটি একটি স্বতন্ত্র প্রতিশ্রুতি হিসেবে তুলে ধরা উচিত, যা বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষায় আইনি কাঠামো এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। এ ছাড়া প্রবাসীদের জাতীয় উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনাগুলো জোরালোভাবে উল্লেখ করতে হবে, যা তাঁদের অর্থনৈতিক এবং নীতিগত অবদানের সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দেয়।
দ্বিতীয়ত, নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসনের পথ নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে শ্রমগ্রহণকারী দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি শক্তিশালী করার প্রস্তাব দিতে হবে। এই চুক্তিগুলো ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং কর্মীদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। একই সঙ্গে শোষণ বা নির্যাতনের মুখোমুখি অভিবাসীদের জন্য আইনি সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করা উচিত, যা কর্মীদের অধিকার এবং মর্যাদা রক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের প্রতিশ্রুতিকে চিহ্নিত করে।
তৃতীয়ত, অভিবাসনকে প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দলগুলো একটি অভিবাসন টাস্কফোর্স প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে, যা নিয়মিতভাবে অভিবাসন-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো পর্যবেক্ষণ ও সমাধান করতে পারে। পাশাপাশি অভিবাসন ইস্যুগুলোকে জাতীয় অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়ন নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা অভিবাসন-সংক্রান্ত উদ্বেগ সমাধানের জন্য একটি সামগ্রিক পদ্ধতির নিশ্চয়তা দেয় ও প্রবাসীদের অবদানকে কাজে লাগায়।
চতুর্থত, দলগুলোকে নির্বাচনের আগে একজন যোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এ ধরনের একটি নিয়োগ মন্ত্রণালয়ের মর্যাদা বাড়াবে এবং এটি যে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো পরিচালনা করে যেমন অভিবাসীকল্যাণ, রেমিট্যান্স নীতি ও প্রবাসী সম্পৃক্তি, সেগুলো যথাযথ মনোযোগ পাবে তা নিশ্চিত করবে।
শেষ কথা
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর আর অভিবাসন ও প্রবাসী ইস্যুকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। এটি কোনো বিমূর্ত নীতিগত উদ্বেগ নয়, এটি এমন একটি বাস্তবতা, যা লাখো মানুষের জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে এবং দেশের অর্থনীতিকে স্থায়িত্ব দেয়। একটি ব্যাপক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে এ বিষয়গুলো সমাধান করা কেবল রাজনৈতিক প্রয়োজন নয়, এটি একটি নৈতিক দায়িত্ব। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত প্রবাসীদের প্রতি তাদের দায়িত্বকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা এবং তাঁদের কল্যাণ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া। প্রবাসীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হলে জাতীয় উন্নয়নে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন শিকদার শিক্ষক ও সদস্য, সেন্টার ফর মাইগ্রেশন স্টাডিজ, সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি), নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশালে খেলবেন মিলনে, কবে যোগ দেবেন বিপিএলে
বিপিএলে যোগ দিচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার অ্যাডাম মিলনে। তারকাসমৃদ্ধ ফরচুন বরিশালে খেলবেন তিনি। বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজি এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মিলনে ৩ ফেব্রুয়ারি বরিশালের ক্যাম্পে যোগ দেবেন। ওই দিন বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার মাঠে গড়াবে। যে ম্যাচে মাঠে নামবে বরিশাল। তাদের প্রতিপক্ষ হবে রংপুর রাইডার্স ও চট্টগ্রাম কিংসের মধ্যে একদল।
সব ঠিক থাকলে মিলনে ওই ম্যাচে বরিশালের জার্সিতে মাঠে নামতে পারেন। এছাড়া বিপিএল ছেড়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার কাইল মায়ার্স ফিরছেন বরিশালের ক্যাম্পে।
চলতি বিপিএলে সবার আগে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। ১১ ম্যাচের ৯টিতে জিতেছে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি।
বরিশাল গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শনিবার চট্টগ্রাম কিংসের মুখোমুখি হবে। ওই ম্যাচে চট্টগ্রাম জিতলে দুই দল প্রথম কোয়ালিফায়ারে আবারো মুখোমুখি হবে। চট্টগ্রাম হারলে কোয়ালিফায়ার খেলবে রংপুর ও বরিশাল।