মেয়াদ শেষ হওয়া অবশিষ্ট ইন্টারনেট ডাটা, মিনিট ও এসএমএস পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করতে সরকার ও কোম্পানিগুলোকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান এ নোটিশ পাঠান। এতে বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে হাইকোর্টে রিট করা হবে। 

জানা গেছে, নোটিশিটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, গ্রামীণ ফোন, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক লিমিটেড ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড বরাবর পাঠিয়েছেন ওই আইনজীবী।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভ্যাটিকানের অন্তর্বর্তী প্রধান কেভিন ফ্যারেল সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে

ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর খবর সোমবার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববাসীকে সর্বপ্রথম যিনি দিয়েছিলেন, তিনি হলেন কেভিন ফ্যারেল।

তিনি একজন কার্ডিনাল, যার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সাধারণত পোপের খুবই ঘনিষ্ঠ মহলের সদস্য হন কার্ডিনালরা। পৃথিবীজুড়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের চার্চগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে কার্ডিনালরা পোপকে সহায়তা করেন। সূত্র: বিবিসি

আইরিশ-আমেরিকান কার্ডিনাল কেভিন ফ্যারেল সোমবার ঘোষণা করেন, পোপ তার প্রভুর ঘরে ফিরে গেছেন। এই ঘোষণার পর তিনি 'ক্যামেরলেনগো' হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনিই এখন থেকে ভ্যাটিকানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান।

এই দায়িত্বের জন্য ২০১৯ সালেই তাকে মনোনীত করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। পোপের মৃত্যু অথবা কোনো পোপ পদত্যাগ করলে পোপের পরবর্তী উত্তরসূরি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত যে সময়, এটি 'অ্যাপোস্টোলিকা সেডেস ভ্যাকান্স' নামে পরিচিত।

শুধু প্রশাসনিক দায়িত্বের ক্ষেত্রে না, পোপ ফ্রান্সিসকে শ্রদ্ধা জানানোর শত শত বছরের প্রথাগত আনুষ্ঠানিকতার নেতৃত্বেও থাকবেন কেভিন ফ্যারেল।

১৯৪৭ সালে ডাবলিনে জন্ম নেওয়া কেভিন ফ্যারেল পড়াশোনা করেছেন স্পেনের ইউনিভার্সিটি অব সালামাঙ্কা ও রোমের পন্টিফিক্যাল গ্রেগরিয়ান ইউনিভার্সিটিতে।

তিনি কর্মজীবনে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করেছেন। যেমন— মেক্সিকোর ইউনিভার্সিটি অব মন্টেরে-তে চ্যাপলেইন বা ধর্মগুরু হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। আবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডের বেথেসডা'র একটি প্যারিশেও (গির্জা ও যাজক সংক্রান্ত দেশের বিভাগ বিশেষ) তিনি কাজ করেছেন।

৭৭ বছর বয়সী কার্ডিনাল ফ্যারেল তার জীবনের ৩০ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গির্জায় কাজ করে।

২০০৭ সালে তিনি ডালাসের বিশপ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এরপর ২০১৬ সালে পোপ ফ্রান্সিস তাকে ভ্যাটিকানের প্যাস্টোরালেয়ার বিষয়ক নতুন একটি বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব দেন এবং পাশাপাশি তিনি তাকে কার্ডিনালের মর্যাদায়ও উন্নীত করেন।

'ক্যামেরলেনগো' হিসাবে নির্বাচিত করার কয়েক বছর পর, ২০২৩ সালে কেভিন ফ্যারেলকে ভ্যাটিকান সিটি স্টেটের সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট এবং কমিশন ফর কনফিডেনশিয়াল ম্যাটারসের প্রধান হিসেবেও নিয়োগ দেওয়া হয়।

এখন ক্যামেরলেনগো হিসেবে তার মূল দায়িত্ব— পরবর্তী পোপ নির্বাচনের জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করা। তবে এই পদ থেকেও পোপ নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ আছে, যদিও তা বিরল। এর আগে ইতিহাসে মাত্র দু'জন ক্যামেরলেনগো পোপ হয়েছেন।

তাদের একজন হলেন গিওআচিনো পেচি (পোপ লিও ১৩), যিনি ১৮৭৮ সালে ক্যামেরলেনগো পোপ হয়েছিলেন। দ্বিতীয়জন হন ১৯৩৯ সালে, তার নাম ইউগেনিও পাচেলি (পোপ পায়াস ১২)।

কার্ডিনাল ফ্যারেলই আনুষ্ঠানিকভাবে পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর সনদে স্বাক্ষর করবেন। তারপর তিনিই পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহ কফিনে শায়িত করবেন।

ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় সময় বুধবার সকালে শোকযাত্রার মাধ্যমে পোপের মরদেহ ডোমাস সান্তা মার্তা চ্যাপেল থেকে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় নিয়ে যাওয়া হবে। এই শোকযাত্রার নেতৃত্বেও থাকবেন কার্ডিনাল কেভিন ফ্যারেল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলার বিচার শুরু, পরবর্তী শুনানি রোববার
  • ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা বাতিল
  • গুম হত্যার চেয়েও ভয়াবহ অপরাধ, বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: আইন উপদেষ্টা
  • বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে ইবির প্রশাসন ভবনে তালা
  • তালিকায় ১ হাজার ৪১৫ নদী, এবার কি বাঁচবে
  • ভ্যাটিকানের অন্তর্বর্তী প্রধান কেভিন ফ্যারেল সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে
  • যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরবর্তী বৈঠক মাসকটে
  • আগামী তিনদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস 
  • বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
  • মামলায় আটকে আছে ইকোপার্ক