সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রাবি শিক্ষক মারা গেছেন
Published: 14th, January 2025 GMT
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. পুরনজিত মহালদার মারা গেছেন। সোমবার দিবাগত রাত ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার দুপুরে রাজশাহীর কাজলা এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন ড. পুরনজিত মহালদার। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রোজায় পানিসংকট দূর করুন
চট্টগ্রামের পানিসংকট কোনো নবীন সমস্যা নয়; তৎসত্ত্বেও এর সমাধানে সুদূরপ্রসারী কোনো পরিকল্পনার বাস্তবায়ন পরিলক্ষিত হয় না। প্রতিবছর রমজান মাসে নগরবাসী এই সমস্যার সম্মুখীন হন, অথচ কার্যকর সমাধানের অভাবে এই দুরবস্থা ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে।
আকবরশাহ, হালিশহর, ইপিজেড, আগ্রাবাদ, বায়েজিদ বোস্তামী, লালখান বাজার, বহদ্দারহাটসহ প্রায় ২০টি এলাকায় ওয়াসার পানি দুর্লভ হয়ে পড়েছে। এসব স্থলে পানিপ্রবাহ এক ঘণ্টার অধিক স্থায়ী হচ্ছে না। ফলে নাগরিক জীবনে চরম দুর্দশার সৃষ্টি হয়েছে।
ওয়াসার পরিসংখ্যান অনুসারে, চট্টগ্রাম শহরে দৈনিক পানি প্রয়োজন ৫৬ কোটি লিটার, অথচ উৎপাদনক্ষমতা ৫০ কোটি লিটার মাত্র। বর্তমানে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর পানিপ্রবাহ হ্রাস পাওয়ায় উৎপাদন আরও হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে ঘাটতি নেমেছে ১১ কোটি লিটারে। রমজানের কারণে চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে। অথচ ওয়াসার প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়। প্রতিবছরের মতো ওয়াসা স্বল্পমেয়াদি কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও তা নাগরিক দুর্দশা লাঘবের জন্য পর্যাপ্ত বলে প্রতীয়মান হচ্ছে না।
অথচ পানিসংকটের কারণে চট্টগ্রামের বহু পরিবারকে অতিরিক্ত ব্যয় বহন করে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে, যা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর অতিরিক্ত আর্থিক ভার আরোপ করছে। অনেকে সুদূর প্রান্ত থেকে পানি আহরণে বাধ্য হচ্ছেন, যা বিশেষত রমজান মাসে কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু ভবনে গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করা হলেও এতে বিদ্যুৎ ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই সংকট নিরসনে ওয়াসার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা আবশ্যক। প্রথমত, পানি শোধনাগারগুলোর উৎপাদনক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ অপরিহার্য। কর্ণফুলী ও মদুনাঘাট শোধনাগারের উৎপাদন বৃদ্ধিমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত। দ্বিতীয়ত, গভীর নলকূপের সংখ্যা বৃদ্ধি করে বিকল্প সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তৃতীয়ত, সংকটাপন্ন এলাকাগুলোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পানিবাহী যান সংযোজন অপরিহার্য। প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যূনতম একটি করে নিয়ন্ত্রণকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন, যাতে সংকট নিরসনে দ্রুত কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হয়।
এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য ওয়াসার জরুরি ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা কর্তব্য। মহানগরবাসী পানিপ্রাপ্তির মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে না। যথাযথ পরিকল্পনা ও সুচিন্তিত উদ্যোগ ব্যতিরেকে এই সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।