পর্তুগালে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৭
Published: 14th, January 2025 GMT
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- তারেক আহমেদ, সুমন (মিলফোন্তেজ), সামসুজ জামান, গ্লিলমান, জামিল ও জুবেল। তারা প্রত্যেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় বিএনপি উভয়পক্ষের ব্যক্তিগত সমস্যা জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে আব্দুস সালাম বলেন, আমি যতদূর জানি পর্তুগাল বেজা শহর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি কামিল আহমেদ জন্মদিনের দাওয়াত দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে।
পর্তুগাল বিএনপির সদস্য সচিব ছায়েফ আহমেদ সুইট সমকালকে জানান বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসীদের ছাড় নেই। যারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত কেউই পর্তুগাল বিএনপির কোনো পদধারী না। যদি পর্তুগাল বিএনপির কেউ এরকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পর্তুগালের লিসবনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর (পিএসপি) ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্টের বলেন, কিছুটা সহিংসতায় সাতজন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দাঁত ভাঙা, পা ও পেটে আক্রমণ, মাথায় কাটা, ছুরির আঘাত রয়েছে। হামলায় আহত হয়ে চারজন আমাদের পুলিশ ফাঁড়িতে সাহায্য জন্য আসলে সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। হামলায় যারা আহত হয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আসে তাদের মধ্যে একজনের কোমরে এবং অপর দুইজনের মাথায় ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আসামিদের চিহ্নিত করতে লিসবন মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।
পর্তুগাল বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা রানা তাসলিম উদ্দিন সমকালকে বলেন, বাংলাদেশীদের দু’পক্ষের মধ্যে এ ধরনের হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক। পর্তুগালের আরেকটি শহর থেকে এসে বাংলাদেশি পাড়ায় নামধারী সন্ত্রাসীরা এই হামলায় চালায়। আমি যতটুকু জানি হামলার পর থেকে পর্তুগালের গোয়েন্দা সংস্থা অস্ত্রধারী হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে কাজ করছে। সর্বোপরি এই ঘটনায় পর্তুগীজদের কাছে বাংলাদেশীদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আমি এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।
উল্লেখ্য, দুই পক্ষের এই হামলার ঘটনায় পর্তুগালের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশি এলাকায় রুয়াদো বেনফর্মোসোতে আজ সারা দিন পর্তুগীজ টিভি চ্যানেল ও পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।