পেনাল্টি মিসে দল বাদ পড়ায় আর্সেনাল তারকার অনাগত সন্তানকে হত্যার হুমকি
Published: 14th, January 2025 GMT
রোববার রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ের পর টাইব্রেকারে হেরে এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে আর্সেনাল। সেদিন ম্যাচের অনেকটা সময় ১০ জনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে পেয়েও শেষ পর্যন্ত জয়সূচক গোলটি আদায় করতে পারেনি এমিরেটসের ক্লাবটি। তবে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারত যদি আর্সেনাল ফরোয়ার্ড কাই হাভার্টজ একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট না করতেন।
হাভার্টজ শুধু নির্ধারিত সময় ও অতিরিক্ত সময়ে নয়, দলকে সাহায্য করতে পারতেন টাইব্রেকারে পেনাল্টি শুট আউটেও। কিন্তু সেদিন তাঁর ভাগ্যটাই যে ছিল খারাপ, ফলে কোনো কিছু শেষ পর্যন্ত পক্ষে থাকেনি।
দুই দল মিলিয়ে টাইব্রেকারে হাভার্টজই শুধু পেনাল্টি মিস করেছিলেন। আর জার্মান তারকার সেই মিসই দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হেরে এফ এ কাপ থেকে বিদায় নেয় আর্সেনাল।
আরও পড়ুনবায়িনদিরের বীরত্বে ১০ জনের ইউনাইটেড বিদায় দিল আর্সেনালকে১২ জানুয়ারি ২০২৫আর্সেনালের হারে হাভার্টজের এমন পারফরম্যান্স স্বাভাবিকভাবেই মানতে পারছেন না অনেক আর্সেনাল সমর্থক। ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপকভাবে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেসব সমালোচনা সীমা ছাড়িয়ে রীতিমতো আঁতকে ওঠার মতো হুমকিতে রূপ নিয়েছে।
হতাশ হাভার্টজ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’