শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান, সুনামি সতর্কতা জারি
Published: 14th, January 2025 GMT
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর দেশটির আবহাওয়া সংস্থা সুনামি সতর্কতা জারি করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পে কোনো হতাহতের খবর দেয়নি।
জাপান জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ৯টা ১৯ মিনিটের পরপরই কিউশু দ্বীপের মিয়াজাকি প্রদেশ এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় কোচি প্রিফেকচারে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দেশটির আবহাওয়া সংস্থা এক্স পোস্টে জানিয়েছে, স্থানীয় দুটি বন্দরের কাছে ২০ সেন্টিমিটারের দুটি ছোট সুনামি শনাক্ত করা হয়েছে। সতর্কতা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয়দের সমুদ্রে যেতে বা উপকূলের কাছাকাছি না আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫
তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫৩ জনের মৃত্যু
প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্ত ‘রিং অব ফায়ার’ বরাবর চারটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের ওপর জাপান অবস্থিত। প্রায় ১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষের আবাসস্থল এই দ্বীপপুঞ্জে প্রতি বছর প্রায় দেড় হাজার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
এর আগে ২০২৪ সালের নববর্ষের দিন নোতো উপদ্বীপে ৭.
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।