ঘুমের মধ্যে মানুষ কত স্বপ্নই না দেখে। কখনো সে স্বপ্ন মধুময় মনে হয়, কখনো দুঃস্বপ্ন। কিছু স্বপ্ন তো একবারেই অর্থহীন হয়। বেশির ভাগ সময় মানুষ কী স্বপ্ন দেখেছে, তার বিস্তারিত ঠিকঠাকমতো মনে করতে পারে না। খুঁটিনাটি অনেক প্রশ্নের উত্তর তার কাছে থাকে না। সব ভাসা–ভাসা, আবছা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের এক নারী ঘুমের ঘোরে দেখা স্বপ্ন নিখুঁতভাবে মনে রাখতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন।

প্রিন্স জর্জ কাউন্টির বাসিন্দা ওই নারী গত মাসে স্বপ্নে কতগুলো সংখ্যা দেখেছিলেন। ঘুম থেকে জেগে ওঠার পরও তাঁর মাথায় সংখ্যাগুলো ঘুরপাক খেতে থাকে। কেন তিনি স্বপ্নে ধারাবাহিক ওই সংখ্যাগুলো দেখতে পেলেন, সেটা তাঁকে ভাবিয়ে তোলে।

ওই নারী স্বপ্নে যেসব সংখ্যা দেখেছেন, সেগুলো ছিল ৯-৯-০-০-০, শেষে পর্যন্ত স্বপ্নে দেখা সংখ্যা মিলিয়ে তিনি একটি পিক-৫ লটারির টিকিট কেনেন। মেরিল্যান্ডের অক্সন হিলের জিপ ইন মার্ট থেকে তিনি ওই লটারির টিকিট কিনেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় পিক-৫ লটারি বেশ জনপ্রিয়।

লটারিজয়ী ওই নারী পরে মেরিল্যান্ড লটারি কর্তৃপক্ষকে বলেন, ‘আমরা দেরি করে ফেলেছিলাম এবং আমি খেলার কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম, আমাকে শুধু আমার স্বপ্নে পাওয়া নম্বরগুলোতে খেলতে হবে।’

স্বপ্নে পাওয়া সেই ধারাবাহিক নম্বরে খেলেই শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করেন ওই নারী। ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় লটারিতে তিনি জিতে যান ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ৬১ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।

লটারিজয়ী নারীর স্বামী বলেন, ‘আমার স্ত্রী আমাকে দেখিয়েছিল, আমার কাছে এটা প্রথমে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। কিন্তু যখন সত্যি সৌভাগ্যের স্পর্শ এল, আশা করেছিলাম আমাদেরই যেন সেখানে দেখায় এবং ধন্যবাদ যে আমরাই সেখানে ছিলাম।’

লটারির অর্থ তাঁর স্ত্রী নিজের ইচ্ছেমতো খরচ করবেন বলেও জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তবে এ–ও বলেছেন, ‘যদিও আমরা এরই মধ্যে আমাদের নাতি-নাতনিদের বড়দিনে বিশেষ উপহার কিনে দিয়েছি।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা নির্বাচন ব্যবস্থা চায় হিন্দু মহাজোট

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা নির্বাচন ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংগঠনটির নেতারা বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত এবং সংখ্যালঘু সমস্যার স্থায়ী সমাধানকল্পে জাতীয় সংসদসহ সবক্ষেত্রে আলাদা নির্বাচন প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার পাল। উপস্থিত ছিলেন সভাপতি অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায়, দুলাল কুমার মণ্ডল, তরুণ কুমার ঘোষ, নিতাই দে সরকার প্রমুখ।

আলাদা নির্বাচন ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরে বলা হয়, দেশের মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। যার মধ্যে হিন্দু ১০ শতাংশ এবং বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ২ শতাংশ। সংসদীয় আসন ৩৫০টি হলে সে অনুপাতে ৪২টি আসন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ করে আলাদা নির্বাচন করতে হবে। এর মধ্যে ৩৮টি হিন্দুদের, তিনটি বৌদ্ধদের এবং একটি খ্রিষ্টানদের জন্য থাকবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায় বলেন, আলাদা নির্বাচন ব্যবস্থা ছাড়া আর কোনো দাবি নেই তাদের। এই দাবি না মানা হলে ভোট বর্জন করা ছাড়া সংখ্যালঘুদের সামনে আর কোনো উপায় থাকবে না।

লিখিত বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কমিটির প্রস্তাবে হিন্দুদের স্বার্থ ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় গঠনমূলক সুপারিশ না থাকার প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘মাইনরিটি কার্ড’ এখন রাজনৈতিক দলগুলোর ‘ট্রাম কার্ড’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনেও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুকে ভোট বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ