বায়ুদূষণে আজ বিশ্বে শীর্ষে ঢাকা, ভালো নেই চট্টগ্রাম–খুলনা–রাজশাহীর বায়ুর মান
Published: 14th, January 2025 GMT
বিশ্বের ১২৩ নগরীর মধ্যে আজ মঙ্গলবার সকালে বায়ুদূষণে শীর্ষে আছে ঢাকা। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইকিউ এয়ারের মানসূচকে ঢাকার বায়ুর মান ২৫৩। বায়ুর এই মানকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আজ বিশ্বে বায়ুদূষণে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং ওই দেশেরই শহর হোচি মিন সিটি।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে। সেই সতর্কবার্তায় নগরবাসীর উদ্দেশে আইকিউ এয়ারের পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরের মধ্যে চট্টগ্রামের বায়ুর মান ১১৫, রাজশাহীতে ১৭৮ আর খুলনায় ১৭৬। ঢাকা ও আশপাশের সর্বোচ্চ দূষিত তিন এলাকার মধ্যে আছে ইস্টার্ন হাউজিং (২৯০), ঢাকার মার্কিন দূতাবাস (২৯০) ও হেমায়েতপুর (২৭৯)।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.
বায়ুদূষণের যে অবস্থা, তা থেকে রক্ষা পেতে আইকিউ এয়ারের পরামর্শ, ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
গত ডিসেম্বরের একটি দিনও নির্মল বায়ু পায়নি রাজধানীবাসী। দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ।
ক্যাপসের গবেষণায় দেখা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে বায়ুর গড় মান ছিল ২৮৮। ২০১৬ সাল থেকে এত খারাপ কখনোই হয়নি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বায়ুর মান ছিল ১৯৫। গত ৯ বছরে ডিসেম্বরে ঢাকায় বায়ুর মান ছিল ২১৯ দশমিক ৫৪। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এই মান ৩১ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে। আর ২০২৩ সালের তুলনায় বেড়েছে ২৬ শতাংশের বেশি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অটোমোবাইল থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে গ্যাস ইউনিটে নিয়ে যাচ্ছে ইন্টট্রাকো রিফুয়েলিং
বিনিয়োগসংক্রান্ত নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ট্রাকোর পরিচালনা পর্ষদ। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইন্ট্রাকো অটোমোবাইলসের একটি সিএনজি স্টেশন থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নেওয়া হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যানুসারে, সিএনজি স্টশনের জমির মালিকের সঙ্গে লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এই বাস্তবতায় কোম্পানিটি মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই সিএনজি স্টেশন আর পরিচালনা করতে চায় না। এই বাস্তবতায় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইন্ট্রাকো অটোমোবাইলসের বিনিয়োগ ভোলা নন–পাইপ গ্যাসলাইন ইউনিটে সরিয়ে নেওয়া হবে।
বিষয়টি হলো, গত সরকারের সময় ভোলা থেকে সিএনজি আকারে প্রতিদিন পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরিবহনের দায়িত্ব পায় ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন। প্রথম পর্যায়ে দৈনিক ৫ মিলিয়ন গ্যাস সরবরাহ দিয়ে শুরু করে ইন্ট্রাকো ধীরে ধীরে দৈনিক ২৫ মিলিয়ন গ্যাসে উন্নীত করতে চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তি অনুযায়ী গত অক্টোবরের মধ্যে বাকি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ শুরু করতে না পারায় চুক্তির অবশিষ্ট অংশের আর কার্যকারিতা নেই; যদিও উৎপাদন বৃদ্ধিতে তাদের আগ্রহ আছে।
দেশের গ্যাসের সংকট মেটাতে ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে এনে দেশের শিল্পকারখানায় ব্যবহার শুরু হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। দেখা যাচ্ছে, সেই গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং ভোলা নন-পাইপ গ্যাসলাইন ইউনিটে বিনিয়োগ সিরিয়ে নিচ্ছে।
গত এক বছরে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৪৭ টাকা ৩০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৩ টাকা ৫০ পয়সা। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি ১ শতাংশ, ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ, ২০২২ সালে ১০ শতাংশ, ২০২১ সালে ২ শতাংশ ও ২০২০ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।