গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্তের পথে
Published: 14th, January 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি চূড়ান্ত করতে মঙ্গলবার দোহায় বৈঠকে বসবেন আলোচকরা। সোমবার মধ্যরাতে আলোচনায় অগ্রগতির পর মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েল এবং হামাসকে চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া দিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তার সমর্থিত যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, এই আলোচনায় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূতরাও উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার এক ভাষণে বাইডেন বলেন, এই চুক্তি জিম্মিদের মুক্তি দেবে, যুদ্ধ বন্ধ করবে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। যদি এই চুক্তি সফল হয়, তবে এটি এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা আলোচনার সফল সমাপ্তি ঘটাবে। আগে হামাস প্রায় অর্ধেক বন্দিকে মুক্তি দিয়ে ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে বিনিময় করেছিল।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের মধ্যস্থতায় দোহায় উভয় পক্ষের কাছে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি পেশ করা হয়েছে। বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, আমার মনে হয় এই চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার খুব কাছাকাছি আমরা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, এখন হামাসের ওপর নির্ভর করছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। হামাস বলেছে, তারা চুক্তি করতে আগ্রহী।
ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এই চুক্তির অংশ হিসেবে ৩৩ জন জিম্মি মুক্তি পাওয়ার পথে রয়েছে। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সাআর বলেন, এখন পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক ভালো। আমি আমাদের মার্কিন বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাই।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’