উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। দুই দিনের ব্যবধানে আবারো বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ফের নেমেছে ১০ ডিগ্রির নিচে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন দ্রুতই দেখা মিলেছে রোদের।

এর আগে, সোমবার একই সময়ে এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ৮ দশমিক ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সে হিসেবে এ এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে কমতে থাকে। রাত বাড়তে থাকলে বাড়ে শীতের তীব্রতা। সকাল অবধি কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে পথঘাট। 

এই শীতে দুর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সময়মত কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে সকালের দিকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “আজকে (মঙ্গলবার) এখানে সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৪ শতাংশ। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিনে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।”

ঢাকা/নাঈম/ইমন

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের আগেই বিচার করতে হবে: সাদ্দাম

ফ্যাসিস্ট সরকারের গুম, খুন, দুর্নীতিসহ রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে গণমিছিল ক‌রে‌ছে ছাত্রশিবির।

রাজধানী‌তে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে জুমার নামাজের পর গণমিছিল শুরু হয়। বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগে গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম।

মি‌ছিল শে‌ষে শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম ব‌লেন,  “জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও যারা বাংলাদেশের মানচিত্রকে কলুসিত করেছে, বাকশাল কায়েম করে এদেশকে ভঙ্গুর দেশে পরিণত করেছিল, জুলাই আন্দোলনে যাদের হাতে নির্বিচারে সাধারণ ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন, সেই পতিত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচরি সরকারের বিচার হতে দেখিনি। আমরা বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা লক্ষ্য করছি। আমরা হুঁশিয়ার করে বলে দিতে চাই, এই বাংলার মাটিতে তাদের বিচার করেই পরবর্তী নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। নির্বাচনের আগেই পতিত স্বৈরাচারের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কিছু রাজনৈতিক দল এই দাবিতে সরব না থেকে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও দখলদারিতে লিপ্ত হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

দনিয়া কলেজের সামনে প্রকৌশলীকে কুপিয়ে হত্যা

‘নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হবে বিশ্বে রোল মডেল’

উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, মানবাধিকার সম্পাদক সিফাত আলম, ঢাকা মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা নেতারা।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ