পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর অ্যাডহক কমিটি আয়োজন করেছে বিজয় দিবস হকি। নতুন বছরে নতুন পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে তারা। এই বছর প্রথম, দ্বিতীয় ও প্রিমিয়ার লিগের সঙ্গে আরও কয়েকটি প্রতিযোগিতা আয়োজনের চিন্তা করছেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের কর্তারা।
তারই ধারাবাহিকতায় আপাতত প্রথম বিভাগ হকি আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে ফেডারেশন। কিন্তু মামলার জটিলতার কারণে এই লিগের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতে পারছেন না কর্তারা।
গত বছর অনুষ্ঠিত হকির নির্বাচন নিয়ে কাউন্সিলরশিপ জটিলতায় আদালতে গিয়েছে দুটি ক্লাব ঢাকা ইউনাইটেড ও কম্বাইন্ড স্পোর্টিং ক্লাব। মূলত মালিকানা দাবি করে আদালতে যান সাজেদ এ আদেল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ইউনাইটেড ও কম্বাইন্ড ক্লাবের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ এই ছয় মাস হকি-সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে না ক্লাব দুটি। চাইলে এই দুই ক্লাব ছাড়াই প্রথম বিভাগ হকির কর্মকাণ্ড শুরু করতে পারে ফেডারেশন।
কিন্তু সেটা করতে গিয়ে নতুন ঝামেলায় পড়তে চায় না হকি ফেডারেশন। তাই ঢাকা ইউনাইটেড ও কম্বাইন্ড ক্লাবকে নিয়ে লিগ আয়োজনের পরিকল্পনা ফেডারেশনের। সে জন্য দুটি ক্লাবের মালিকানা ইস্যুর সমাধানের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে চিঠি দিয়েছে হকি ফেডারেশন।
গতকাল সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪ বাসিন্দা
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর আগে ওই যুবকদের গুলিতে স্থানীয় চার বাসিন্দা আহত হন। সোমবার রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকদের পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশ। গুলিবিদ্দ স্থানীয় চার বাসিন্দা হলেন ওবায়দুল হক (২২), মামুনুর রশিদ (৪৫), নাসির উদ্দিন (৩৮) ও আব্বাস উদ্দিন (৩৮)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে একদল যুবক ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় মসজিদে ডাকাত পড়েছে এমন প্রচারের পর লোকজন জড়ো হয়ে অটোরিকশায় করে আসা দুই যুবককে আটক করে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক নিহত হন।
এক যুবকের লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই যুবককে আটকের আগে গুলির ঘটনায় আহত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দলসহ সাতকানিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে প্রচারের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এখনো ওই দুই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।