ভারতে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
Published: 14th, January 2025 GMT
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ১৮ বছর বয়সী এক দলিত কিশোরী। অভিযোগে বলা হয়েছে, তাঁর বয়স যখন ১৩ বছর, তখন থেকে তাঁর ওপর যৌন নিপীড়ন শুরু হয়। এরপর টানা পাঁচ বছর ধরে চলেছে এ নিপীড়ন।
ধর্ষণের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। বিবিসিকে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বয়স ১৭ থেকে ৪৭ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে রয়েছে দলিত ওই নারীর প্রতিবেশী, খেলার কোচ এমনকি তাঁর বাবার বন্ধুরাও। তদন্তে নেমে ৬৪ জনের হদিস পাওয়া গেছে।
সরকারি একটি প্রকল্পের আওতায় কাজ করা পরামর্শকদের (কাউন্সেলর) একটি দল তাঁর বাসায় গেলে ধর্ষণের বিষয়ে মুখ খোলেন কিশোরী। এরপর এ ঘটনায় বিভিন্ন আইনে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮টি মামলা করেছে পুলিশ। ঘটনা তদন্তে ২৫ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। এ নিয়ে আগামী দিনে আরও মামলা করা হতে পারে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নারীর বয়স যখন ১৩ বছর, তখন তাঁকে তাঁর এক প্রতিবেশী যৌন নিপীড়ন করে। ওই প্রতিবেশী তাঁর কিছু ছবিও তোলে। পরে ১৬ বছর বয়সে ওই নারীকে আবার যৌন নিপীড়ন করে সে। একই সঙ্গে নিপীড়নের সময় ধারণ করা ভিডিও বেশ কয়েকজনের কাছে প্রকাশ করা হয়। পরে তারাও তাঁকে কয়েক বছর ধরে ধর্ষণ করে।
স্থানীয় শিশুকল্যাণ কমিটির (সিডব্লিউসি) প্রধান একজন আইনজীবী সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, দলিত ওই কিশোরী একজন অ্যাথলেট ছিলেন। খেলাধুলা-সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার সময় ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। গত পাঁচ বছরে তিনবার সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীর হাত কেটে ‘প্রতিশোধ’ স্বামীর
পরকীয়ার সন্দেহে গত বছরের ১৬ এপ্রিল স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন স্ত্রী। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি রাতে স্ত্রীর ডান হাত কেটে প্রতিশোধ নিয়েছেন স্বামী। এ ঘটনায় স্বামী ফিরোজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তারা টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বাসিন্দা।
স্বামী ফিরোজ মিয়া রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে এবং তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম একই ইউনিয়নের পাশের জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে।
গত বছর ১৬ এপ্রিল রাতে পরকীয়া সন্দেহে জাকিয়া তার স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলেন। পরে ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে জাকিয়ার বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ জাকিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। এরপর কিছুদিন পর জাকিয়া জামিন পেয়ে ঢাকার আশুলিয়া এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। এদিকে স্ত্রীর চাকরির সংবাদ পেয়ে ফিরোজ মিয়া প্রতিশোধ নিতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আশুলিয়া গাজীরচর এলাকার বাসা ভাড়া নিয়ে আবারও সংসার শুরু করেন তারা। এরপর সুযোগ বুঝে সোমবার রাতে জাকিয়ার ডান হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করেন ফিরোজ মিয়া। এসময় স্ত্রী জাকিয়ার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তার স্বামীকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন এবং জাকিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান। পরে পুলিশ এসে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম সিদ্দিকী জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় জাকিয়ার বাবা বাদী হয়ে ফিরোজের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।