বায়িনদিরের বীরত্বে ম্যানইউর বিজয়গাথা
Published: 14th, January 2025 GMT
সময় যে কত দ্রুত রং বদলায়! গত মাসেই টটেনহামের বিপক্ষে ভুল করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন আলতাই বায়িনদির। রোববার রাতে পেনাল্টি ঠেকিয়ে সেই বায়িনদির ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নায়ক। তুর্কি এ গোলরক্ষকের নৈপুণ্যে ১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে আর্সেনালকে হারিয়ে দিয়েছে ম্যানইউ। ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে ১০ জনের ম্যানইউকে হারাতে না পেরে ভীষণ হতাশ গানার বস মিকেল আর্তেতা।
২০২৩ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আসেন তুরস্কের গোলরক্ষক আলতাই বায়িনদির। এ মৌসুমে লিগ কাপের তিনটি ম্যাচ ছাড়া ম্যানইউর জার্সি তাঁর গায়ে ওঠেনি। সেই তিন ম্যাচে আবার তাঁর ভুলে টটেনহামের বিপক্ষে হারতে হয়েছিল। গত মাসে তাঁর ভুলে সরাসরি কর্নার থেকে গোল করে টটেনহামকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন সন হিউং-মিন। তখন ২৬ বছর বয়সী এ তুর্কি গোলরক্ষকের সামর্থ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। ভাগ্যের কী খেলা!
রোববার রাতে সেই বায়িনদিরকে ‘আমাদের নায়ক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ম্যানইউ বস রোবেন আমোরিম। এমিরেটস স্টেডিয়ামে ৫২ মিনিটে ম্যানইউকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। ৬১ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রেড ডেভিল ডিফেন্ডার দিয়াগো দালোত। পরের মিনিটেই সমতা ফেরান গ্যাব্রিয়েল। ৬ মিনিট পর এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। কাই হাভার্টজকে ফাউল করলে পেনাল্টি পেয়েছিল গানাররা।
কিন্তু মার্টিন ওডেগার্ডের শট ঠেকিয়ে দেন বায়িনদির। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও অতিরিক্ত সময়ে আর কোনো গোল না হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে হাভার্টজের শট ঠেকিয়ে নাটকীয়ভাবে ম্যানইউকে জিতিয়ে দেন বায়িনদির।
টাইব্রেকার মিস করায় আর্সেনাল সমর্থকদের কাছে খলনায়ক বনে গেছেন হাভার্টজ। জার্মান এ স্ট্রাইকারের স্ত্রী ও তাঁর গর্ভের সন্তানকে খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় বেশ আতঙ্কে আছেন হাভার্টজের পরিবার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই হুমকির কথা জানিয়েছেন ফুটবলারের স্ত্রী সোফিয়া, ‘আমি ও আমার গর্ভের সন্তানকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি এসে দুইজনকে খুনের কথা লিখেছে একজন।
আরেকজন প্রার্থনা করেছে, আমার গর্ভের সন্তান যেন নষ্ট হয়ে যায়। আমরা আতঙ্কিত। বুঝতে পারছি না কী করব।’ যদিও এই ঘটনায় হাভার্টজের পাশে দাঁড়িয়েছেন গানার বস আর্তেতা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে : মাজেদুল
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেছেন, আমরা অনেকেই নামাজ পড়ি, কিন্তুু সুদখাই, আমরা নামাজ পড়ি ঘুষখাই, আমরা নামাজ পড়ি নেশার সাথে জড়িত, আমরা নামাজ পড়ি মাদক ব্যবসা করি, আমরা নামাজ পড়ি আবার অন্যেও হক মেরে খাই, আমরা দুর্বল মানুষের উপর জুলুম করি, আমি মনে করি আমাদের এই নামাজ কোন কাজে আসবে না।
আগে আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে। আমার মনের ভিতরে এমন বাসনা আনতে হবে যে আমি নামাজ পড়বো মানুষের হক মেরে খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো সুদ খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো ঘুষ খাবোনা, আমি দুর্বলের উপর জুলুম করবোনা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি দক্ষিনপাড়া যুব ও কিশোর সংঘের উদ্যোগে কবরবাসীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ১৫তম বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আজকে আমারা এখান থেকে ওয়াজ শুনে গেলাম জামাতের সাথে ফজর নামাজ পড়লাম না, তাহলে এই ওয়াজ শুনে আমাদের কোন ফয়দা হবে না। আমরা এখানে এসেছি শিখতে, আমরা এখান থেকে শিখবো এবং তা পালন করবো। আমি জানি এই এলাকায় অনেকেই অসহায়দের উপর জুলুম করে, অনেকেই মাদক ব্যবসা করে।
আল্লাহতালা যদি আমাকে কোনদিন সুযোগদেন আমি কিন্তুু আপনাদের ছাড়বো না, নেশার সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা। নেশার ব্যবসা যারা করে তাদের সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা, তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আমি যতোদিন বেচে থাকবো আপনাদের সেবা করে যাবো, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যতোদিন বেচে থাকবো এলাকার উন্নয়নে কাজ করবো।
বাইতুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি হাজী বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন মাওলানা গাজী সোলাইমান আল-কাদরী। বিশেষ বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন হযরত মাওলানা মুফতি বেলাল আহমদ ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ আমানুল্লাহ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইতুল আতিক জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ ওমর আলী, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড্যাঃ মাসুদুজ্জামান মন্টু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক কামরুল হাসান শরীফ, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান, হাজী নুরুল ইসলাম ও লোকমান হোসেন প্রমূখ। মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা মিজানুর রহমান।