Samakal:
2025-03-03@21:31:44 GMT

পিএসএল খেলবেন তারা

Published: 14th, January 2025 GMT

পিএসএল খেলবেন তারা

কাছাকাছি সময়েই একদিকে চলবে ভারতে আইপিএল, অন্যদিকে পাকিস্তানে পিএসএল। বাংলাদেশের বাজারে বরাবরই আইপিএলের আকর্ষণ বেশি। ২৩ মার্চ শুরু হতে যাওয়া এবারের আসরে সেখানে বাংলাদেশের কোনো মুখ নেই। তাতে এবার হয়তো ভাগ বসাতে যাচ্ছে ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া পাকিস্তান সুপার লিগ টি২০। কেননা সেখানে এবার তিন-তিনজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারকে দেখা যাবে খেলতে।

গতকাল পিএসএলের ড্রাফট থেকে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন টপঅর্ডার ব্যাটার লিটন কুমার দাস, পেসার নাহিদ রানা ও লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর এদিন পাকিস্তানের লাহোর থেকে সুখবরটি পান লিটন। এদিনের ড্রাফটে সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদরা থাকলেও প্রথম দফায় দল পাননি তারা।

পেসার নাহিদ রানা বাংলাদেশিদের মধ্যে সবার আগে পাকিস্তান থেকে সুখবর পান। তাঁকে দলে ভিড়িয়েছে পেশোয়ার জালমি। এপ্রিলে বাংলাদেশের কোনো সিরিজ নেই, তাই ছাড়পত্র পেলে সতীর্থ হিসেবে বাবর আজম, সায়েম আইয়ুবকে পাবেন তিনি। গতির ঝড় তুলে পাকিস্তানে দলকে টেস্ট জেতানো এই পেসার ড্রাফটে গোল্ড ক্যাটেগরিতে ছিলেন। ওই ক্যাটেগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের ভিত্তি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার বা প্রায় সাড়ে ৪৫ লাখ টাকা।

লিটন দাসকে সিলভার ক্যাটেগরি থেকে দলে নিয়েছে করাচি কিংস। একই ক্যাটেগরি থেকে রিশাদকে দলে ভিড়িয়েছে লাহোর কালান্দার্স। সিলভার ক্যাটেগরির ভিত্তি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার বা ২৩ লাখ টাকা। গোল্ড ক্যাটেগরির নাহিদ প্রথম দফার ডাকে দল পান। 
তবে লিটন দ্বিতীয় রাউন্ড ও রিশাদ তৃতীয় রাউন্ড থেকে দল পেয়েছেন। পিএসএল ড্রাফটে সবচেয়ে দামি প্লাটিনাম ক্যাটেগরিতে ছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। ওই ক্যাটেগরিতে থাকা ৪৪ জন ক্রিকেটারের ভিত্তি মূল্য নির্ধারণ করা হয় প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি–জামায়াতের বাইরে অভ্যুত্থানের পক্ষের দলগুলোর নির্বাচনী জোট করা ছাড়া পথ কী

অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে সব পর্যায়ে রাষ্ট্র সংস্কারের দমকা হওয়া উঠেছিল। কিন্তু নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সংস্কারের পালে হঠাৎ করে হাওয়া কমে গেছে বলেই মনে হচ্ছে।

দ্বিদলীয় গণতন্ত্রে এক দল পলাতক হলে অন্য দল যে খোলা মাঠে গোল দিতে নির্বাচন চাইবে, সেটা স্বাভাবিক। অন্যদিকে নির্বাচন গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রাণভোমরা। তাই নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করাতে গণতন্ত্রকামী অন্য দলগুলোও তাদের নির্বাচনী হিসাব মেলাতে বাধ্য হওয়ার কথা। এমনকি নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করা দলও তাদের বৈধতা প্রমাণ করতে নির্বাচনের রাজনীতির দিকেই ঝুঁকবে।

কিন্তু একদলীয় নির্বাচনী ভাগ্যচক্রে অন্য দলগুলো কী পরিণতি আশা করতে পারে?

ভোটের হিসাবে বিএনপির পর দ্বিতীয় শক্তিশালী দল জামায়াত কোনো নির্বাচনেই পাঁচ শতাংশের বেশি ভোট পায়নি। তাই তাদের পক্ষে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫টি আসন পেতেই হিমশিম খাওয়ার কথা। দ্বিতীয়-তৃতীয় সারির দলগুলো এক নেতা, এক দল; তাই তারা সম্মিলিতভাবে ১০টির বেশি আসনে দাঁড়াতে পারবে বলে মনে হয় না। কিন্তু তাদের আসনে বিএনপি যদি প্রার্থী দেয়? তাহলে বোধ হয় তারা নিজেরাই বিশ্বাস করে না যে তারা ১০ ভাগ ভোট পেতে পারে। জিতে আসা তো অনেক দূর।

বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে এই জোটই সংসদের সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায়ও আওয়াজ তুলতে পারবে। সেটা একদিকে আওয়ামীতন্ত্রে ফেরার ঝুঁকি কমাবে, আবার অন্যদিকে গণতন্ত্রের আওয়াজ জারি রাখলে পাঁচ বছর পরের যে সংসদ, সেখানে ক্ষমতা নির্ধারণ তাদের হাতেই থাকবে।

ছাত্রদের নতুন দলে হাতে গোনা কয়েকজনের জাতীয় পরিচিতি থাকলেও এলাকার রাজনীতি তাঁরা করেননি। তাই রাষ্ট্রীয় সমর্থনবিহীন নির্বাচনী পাশা খেলায় তাঁরা নিজ নিজ আসনে কতটা কী করতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

এদিকে বিএনপি বুঝতে পারছে যে একদলীয় নির্বাচনে ২৯০ সিট জিতে আসা তাদের জন্য বিপজ্জনক। বিরোধী দল না রাখার শেখ সাহেবের ’৭৩ সালের ভুল তাদের স্মরণে আছে নিশ্চয়ই। সে জন্য তারা তাদের মিত্রদের কাছে ১০০ সিট ছেড়ে দিতেও প্রস্তুত হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এই সুযোগে মিত্র দলগুলো এখনই সংসদের সবুজ চেয়ারে বসার স্বপ্নের ডানায় উড়াল দিয়ে ফেলেছে।

এই স্বপ্নের যাত্রায় গণতন্ত্রের পক্ষের যে দলগুলো আওয়ামী জুলুমের সময় রাস্তায় ছিল, তারাও কি বুঝতে পারছে যে একবার বিএনপির আশীর্বাদের চাদরে ঢুকে গেলে তাদের ইনু-মেনন হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না? আর ইনু-মেননরা যেহেতু রাস্তার রাজনীতি বিসর্জন দিয়েই যেহেতু সংসদে বসার দাসখত দেন, সামনের বিএনপির সময়েও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো এই কায়দায় রাস্তায় নামতে না পারার ঝুঁকিতে পরতে পারে।

আর রাস্তা ফাঁকা থাকলে মানুষ তো আর বসে থাকবে না। তখন হয়তো তারা তাদের স্বার্থেই আওয়ামী লীগকে ডেকে আনবে!

এমন একই পটভূমিতে ইতিহাস যাতে গুম-খুনের আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার বাঁক নিতে বাধ্য না হয়, সে জন্য বিএনপির বাইরে অভ্যুত্থানের পক্ষের নতুন-পুরোনো সব দল মিলে একটা নির্বাচনী জোট গড়ে তোলা ছাড়া কোনো সমাধান নেই।

বাংলাদেশের মানুষের অভিজ্ঞতা বলে যে বিএনপি আসলে আওয়ামী লীগেরই অন্য পিঠ। তাই মানুষের পক্ষের নির্বাচনী জোট সামনে এলে আগামী নির্বাচনে চমক দেখানোর সম্ভাবনা উজ্জ্বল। সেই নির্বাচনে যদি তারা পঞ্চাশের কম আসনও পায়, তারাই হবে প্রধান বিরোধী জোট। সেই সংসদে বিএনপি জোর জুলুম করতে চাইলে হয়ে সংসদে তারা জোরালো কণ্ঠে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারবে।

বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে এই জোটই সংসদের সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায়ও আওয়াজ তুলতে পারবে। সেটা একদিকে আওয়ামীতন্ত্রে ফেরার ঝুঁকি কমাবে, আবার অন্যদিকে গণতন্ত্রের আওয়াজ জারি রাখলে পাঁচ বছর পরের যে সংসদ, সেখানে ক্ষমতা নির্ধারণ তাদের হাতেই থাকবে।

সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক কর্মী

[email protected]

সম্পর্কিত নিবন্ধ