বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফিকি গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া সাম্প্রতিক ভ্যাট ও অন্যান্য কর বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গতকাল সোমবার এক প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটি বলেছে, ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং অন্যান্য কর বৃদ্ধির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত সাধারণ ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলবে এবং দেশের ব্যবসা পরিচালনার খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে। এ পদক্ষেপ ব্যবসার আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

ফিকির প্রতিক্রিয়ায় আরও জানানো হয়, বিস্তৃত গবেষণা বা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া নীতি প্রণয়ন বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করতে পারে এবং ভবিষ্যৎ এফডিআই প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করতে পারে। উল্লেখযোগ্য নীতি পরিবর্তনের আগে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে  সংলাপের অভাব দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য নেতিবাচক বার্তা দিতে পারে এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের স্থিতিশীলতা ও পূর্বানুমানযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। সংগঠনটি  সরকারের সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো পুনর্বিবেচনা এবং পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেছে,  সরকারের এমন কৌশল নেওয়া উচিত, যা শিল্পগুলোকে তাদের বিক্রয় বাড়াতে উৎসাহিত করে। বিক্রয় বাড়লে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাজস্ব আহরণ বাড়বে।

ফিকি বলেছে, একটি অভিন্ন ভ্যাট হারের অধীনে যদি শতভাগ ইনপুট ভ্যাট পুনরুদ্ধারযোগ্য হয়, তাহলে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ালে এর প্রভাব ন্যূনতম হবে। যেসব ক্ষেত্রে ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, তার অনেক ক্ষেত্রে ইনপুট ভ্যাট পুনরুদ্ধার অযোগ্য। ফলে ক্ষতি এড়াতে শিল্পগুলো খরচ কমানোর চেষ্টা করলে সাধারণ ভোক্তাদের জন্য পণ্যের দাম বাড়বে। এর চূড়ান্ত প্রভাব হবে ভোগ কমে যাওয়া, যা সামগ্রিক রাজস্ব কমাবে। ফলে  উচ্চ করের মাধ্যমে রাজস্ব বাড়ানোর কৌশল কার্যকর হবে না।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কারিগরি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করলেন

৬ দফা দাবি পূরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাস পেয়ে চলমান আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।

সংগঠনটি সংবাদ সম্মেলনে জানায়, আন্দোলনের যৌক্তিকতা বিবেচনায় নিয়ে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি সচিবালয়ে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করেছে, যা শিক্ষার্থীদের ৬ দফা বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে। একই সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে ও রূপরেখা প্রণয়নে ৩ সপ্তাহ সময় চেয়েছে।

আরও পড়ুনকারিগরি শিক্ষার্থীদের দাবি কী, পূরণে বাধা কোথায়, কী চিন্তা করছে সরকার২১ এপ্রিল ২০২৫

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি সমর্থন জানিয়ে শিক্ষার্থীরা সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে সংগঠনটি জানায়। তবে তাঁদের ৬ দফা দাবির বাস্তবায়ন ও কারিগরি সংস্কার কমিশন গঠনে গড়িমসি দেখা গেলে পুনরায় বিক্ষোভ ও আন্দোলন করা হবে।

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে প্রথমটি হলো, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটা বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত, ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়া ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।

এসব দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কারিগরি শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এর ফলে জনদুর্ভোগ তৈরি হয়।

আরও পড়ুনপলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে ৮ সদস্যের কমিটি৩ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুয়েট উপাচার্যের অপসারণ না হলে তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ছাত্রপক্ষের
  • নিজস্ব ভবনের একাংশ দখলের প্রতিবাদে আলোকচিত্রীদের সংগঠনের মানববন্ধন
  • ইয়েমেনে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি হুতির, যুক্তরাষ্ট্রের হামলা অব্যাহত
  • কারিগরি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করলেন