স্বামী হত্যার মামলা থেকে রেহাই পেতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
Published: 13th, January 2025 GMT
স্বামীকে হত্যার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে অন্তর্বর্তী সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক নারী। তাঁর স্বামী পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান (প্রতিষ্ঠাতা) ও জুট ব্যবসায়ী হাসান আহমেদ। তাঁকে (হাসান আহমেদ) হত্যা মামলার প্রধান আসামি জান্নাতুল ফেরদৌস। এই মামলায় তিনি জেল থেকে জামিনে এসে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তবে তাঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন নিহত হাসানের ছোট ভাই কবির আহমেদ ও তাঁর পরিবার।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘তাঁর স্বামী হাসান আহমেদ ২০২০ সালে হঠাৎ স্ট্রোক করে অসুস্থ হন। এ সময় তিনি পপুলার লাইফস ইন্সুরেন্স থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর হাসান আহমেদের ব্যক্তিগত ম্যানেজার বিদ্যুৎ ঘোষ, ছোট ভাই কবির আহমেদ ও মুসা আহমেদ সম্পত্তি আত্মসাতের চক্রান্ত করতে থাকেন। ২০২২ সালে আমার তত্ত্বাবধানে থাকা অবস্থায় হাসানের মৃত্যু হলে দেবররা আমাকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আমি হাজিরা দিতে গেলে আদালত আমাকে জেলেহাজতে পাঠান। পরে পল্টন থানা মামলার তদন্ত করে আমাকে আসামি থেকে অব্যাহতি দেয়। কিন্তু বাদীপক্ষ নারাজি দেওয়ায় ডিবি তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ১৫ জানুয়ারি ঢাকার নবম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলার শুনানি হবে। এতে আমি ও আমার পরিবার নির্দোষ প্রমাণিত হলে দ্রুত এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি কামনা করছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কবির আহমেদ বলেন, ‘আমার অসুস্থ ভাইয়ের অর্থ-সম্পত্তি গ্রাস করতে ভাবি জান্নাতুল ফেরদৌস পরিকল্পিতভাবে তাঁকে (হাসান আহমেদ) হত্যা করেছেন। জীবিত থাকাকালীন আমার ভাই তাঁর স্ত্রীর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিলেন। আমাদের সঙ্গে ভাইকে যোগাযোগ করতে দিতেন না। আমার ভাইকে হত্যার পর ভাইয়ের এফডিআর ভেঙে ৮ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন জান্নাতুল। আদালতের মাধ্যমে ভাড়া বাবদ দুই কোটি টাকা নিয়েছেন। কয়েকটি ব্যাংকে ভাইয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তুলে নিয়েছেন। কোম্পানির শেয়ার, ফ্ল্যাট বিক্রি এবং বহু ফ্ল্যাটের ভাড়া এখনও নিচ্ছেন। কিন্তু তাঁর শাশুড়ির (হাসান আহমেদ) মায়ের অংশ বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। শাশুড়িকে ভাগ দিতে হবে বলে জান্নাতুল ফেরদৌস ১৩০ কোটি টাকার একটি এফডিআর নবায়ন করছেন না। অথচ ওই এফডিআরের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এই টাকা আত্মসাতের জন্য তিনি আমাকে ও আমার আমেরিকা প্রবাসী ভাই মুসা আহমেদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা করেছেন। আমাদের ডিবি অফিসে ডেকে নিয়ে হয়রানি করেছেন। অথচ মুসা ৪৫ বছর আমেরিকায় বসবাস করছেন। মামলা তুলে নিতে ভাবি জান্নাতুল বিভিন্ন লোক মারফত আমাদের হুমকি দিচ্ছেন।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আহারে চার পদ
গরমে তৈলাক্ত ও ভারী খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এ সময় কম মসলা দিয়ে হালকা খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। গরমের এ সময় বাড়িতে রান্না করতে পারেন এমন চার পদের রেসিপি দিয়েছেন কোহিনুর বেগম
শিমের বিচি দিয়ে শোল মাছ
উপকরণ: বড় সাইজের শোল মাছ ১টি, শিমের বিচি ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি এক কাপ, টমেটো কুচি ১টি, ধনেপাতা কুচি এক টেবিল চামচ, আদা বাটা এক চা চামচ, রসুন বাটা এক চা চামচ, হলুদের গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনিয়ার গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরার গুঁড়া এক চা চামচ, তেল এক কাপ, লবণ পরিমাণ মতো।
প্রস্তুত প্রণালি: শোল মাছ ধুয়ে হলুদ-লবণ মাখিয়ে তেলে ভেজে নিতে হবে। কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ ভেজে ধনেপাতা বাদে একে একে সব উপকরণ দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। শিমের বিচি দিয়ে কষাতে হবে। সামান্য পানি দিয়ে ১০ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। শিমের বিচি সেদ্ধ হয়ে এলে ভাজা শোল মাছগুলো দিয়ে আরও পাঁচ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। মাছ আর শিমের বিচি মাখামাখা হয়ে এলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে চুলা বন্ধ করে নামিয়ে নিতে হবে।
রুই মাছের দোপেঁয়াজা
উপকরণ: বড় রুই মাছ ১টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, টমেটো ১টি, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদের গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনিয়ার গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরার গুঁড়া ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৪-৫টি, ধনেপাতা কুচি এক টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণ মতো, তেল পরিমাণ মতো।
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে মাছ ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। লবণ-হলুদ মাখিয়ে তেলে ভেজে নিতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল এবং পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। ধনেপাতা বাদে একে একে সব উপকরণ দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। কষানো হলে ধনেপাতাসহ সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে দিন। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছ দিন। ঝোল আর মাছ মাখামাখা হলে চুলা বন্ধ করে দিন।
দেশি মুরগির দোপেঁয়াজা
উপকরণ: দেশি মুরগি ১টি, পেঁয়াজ কুচি এক কাপ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, এলাচ ২টি, দারচিনি ২টি, তেজপাতা ২টি, তেল এক কাপ, হলুদের গুঁড়া এক চা চামচ, মরিচের গুঁড়া এক চা চামচ, ধনিয়ার গুঁড়া এক চা চামচ, জিরার গুঁড়া এক চা চামচ, লবণ পরিমাণ মতো।
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে মুরগির মাংস ধুয়ে নিতে হবে। তারপর কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ ভাজতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি কালার হয়ে এলে একে একে সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। এবার দেশি মুরগি দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ১০ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল মাখামাখা হলে চুলা বন্ধ করে নামিয়ে নিন।
টমেটো দিয়ে মসুর ডাল
উপকরণ: মসুর ডাল ১ কাপ, টমেটো ২টি, ধনেপাতা কুচি এক টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৪-৫টি, হলুদের গুঁড়া ১ চা চামচ, রসুন কুচি ১ চা চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণ মতো।
প্রস্তুত প্রণালি: মসুর ডাল ভালো করে ধুয়ে হলুদ-কাঁচামরিচ-লবণ দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে ভালো করে ঘুটে টমেটো দিতে হবে। পরিমাণ মতো পানি দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল দিন। এবার অন্য পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি দিয়ে বেরেস্তা করে ডাল বাগার দিয়ে চুলা বন্ধ করে নিন।