Samakal:
2025-01-31@12:10:38 GMT

শীতে উষ্ণতার পরশ

Published: 13th, January 2025 GMT

শীতে উষ্ণতার পরশ

দেশজুড়ে শীতের দাপটে নিদারুণ কষ্টে দিন যাপন করছে ছিন্নমূল, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ। এসব মানুষের কথা চিন্তা করে বরাবরের মতো এবারও সুহৃদরা শুরু করেছেন শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি। এর ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বগুড়া, ফরিদপুর ও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে শীতার্তদের কম্বল দেওয়া হয় 

বগুড়া

আসলাম হোসাইন 
শীত প্রকৃতির সৌন্দর্য হলেও, নিম্ন আয়ের ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য এটি মোকাবিলা করা কঠিন বিষয়। শীত নিবারণের এ কঠিন চ্যালেঞ্জে পাশে দাঁড়িয়েছে সুহৃদ সমাবেশ। ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনে বগুড়ার মালতিনগর অন্ধ ইয়াতিম হাফিজিয়া মাদ্রাসার অন্ধ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন বগুড়ার সুহৃদরা। এ উদ্যোগে পৃষ্ঠপোষকতার হাত বাড়িয়েছেন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) সহকারী অধ্যাপক (চক্ষু) ও সুহৃদ উপদেষ্টা ডা.

পল্লব কুমার সেন। কর্মসূচিতে ছিলেন– সরকারি শাহ সুলতান কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ এমদাদুল হক, রাজাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ, সমকাল উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি লিমন বাসার, সমকাল বগুড়া ব্যুরোপ্রধান এসএম কাউসার, বগুড়া সুহৃদ সভাপতি আবু মোতালেব মানিক, সহসভাপতি মশিউর রহমান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জু রায়, অর্থ সম্পাদক চন্দন কুমার গুপ্ত, দপ্তর সম্পাদক মানিক রতন ঘোষ, প্রচার সম্পাদক রিগান হাসান এবং জ্যেষ্ঠ সদস্য রাকিব রেদওয়ান, শাহনেওয়াজ শাওন ও ইমরান হোসেন। 
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘শীতের তীব্রতা বেড়েছে; সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগও। এ পরিস্থিতিতে বগুড়ার সুহৃদরা নিজ উদ্যোগে শীতার্তদের জন্য কিছু করা চেষ্টা করেছেন।’
সাধারণ সম্পাদক সমকাল সুহৃদ সমাবেশ, বগুড়া

ফরিদপুর
আবরাব নাদিম ইতু
কনকনে ঠান্ডা কেড়ে নিয়েছে তাঁর ঘুম, জীবনকে করে তুলেছে অভিশপ্ত। কখনও দিনভর ঘন কুয়াশা, কখনও সকালের হিম বাতাস– এর মধ্যেই বর্ণনাহীন কষ্টে এবার শীত পার করছে রাস্তার ধারে অনেক অসহায় মানুষ। অর্থাভাবে নেই শীত নিবারণের কাপড়, বিছানা। রাত কাটে বসে, জেগে থেকে। আয়শার মতো এমন অসংখ্য বাস্তুভিটাহীন লোকের বাস দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এমন অসহায় কিছু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ফরিদপুরের সুহৃদরা। এর মধ্য দিয়ে ফরিদপুরে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি শুরু হলো। 
সম্প্রতি ফরিদপুর রেলস্টেশন-সংলগ্ন এবং আদালত চত্বর এলাকায় শীতার্ত মানুষের কাছে শীতবস্ত্র নিয়ে ছুটে যান সুহৃদরা। এ কার্যক্রমে যুক্ত হন ফরিদপুর সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, সহসভাপতি মিরান ফকির, অনিক, লাফিম ও দীপ্ত। শহরের অনেক অঞ্চলের শীতার্ত মানুষেরা অসহায় থাকলেও, এ দুটি স্থানে নিম্ন আয়ের মানুষ রাতে ঘুমায়। তাই তাদের কথা বিবেচনা করে এ শীতবস্ত্র দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হলো। কর্মসূচির আলোকে অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিতে দ্রুতই একটি সভা করার বিষয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে সুহৃদরা কার্যক্রম শেষ করেন।
সাধারণ সম্পাদক সুহৃদ সমাবেশ, ফরিদপুর

রায়গঞ্জ 
মামুনর রশিদ 
উত্তরের জেলা সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে শীতের প্রকোপ একটু বেশি। এই শীতে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মানবেতর জীবনে একটু উষ্ণতা দিতে অর্ধশত মানুষের পাশে দাঁড়ান সুহৃদরা। সম্প্রতি উপজেলা প্রেস ক্লাবে কম্বল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক রাম সরকার বিপ্লব, আল আমিন, সুহৃদ যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর অনিক, সুহৃদ অনিক রায়সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। v
সমন্বয়ক সুহৃদ সমাবেশ, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ)
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ