Samakal:
2025-03-03@16:58:23 GMT

কুষ্টিয়ায় মতবিনিময় সভা

Published: 13th, January 2025 GMT

কুষ্টিয়ায় মতবিনিময় সভা

কমিটি পুনর্গঠন ও সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে সম্প্রতি সুহৃদদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন সুহৃদ বিভাগীয় সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান। বছরজুড়ে নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে সরব রয়েছেন কুষ্টিয়ার সুহৃদরা। সভায় সম্প্রতি সংগঠনের নানা কর্যক্রম তুলে ধরে নতুন বছরে নতুন পরিকল্পনায় এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সুহৃদরা।
সভায় কুষ্টিয়া জেলা ও সরকারি কলেজ কমিটির সুহৃদরা অংশ নেন। শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সভায় আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সংগঠন করলে মানুষের জন্য কাজ করা যায়। একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে ওঠে। যে প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছানো সহজ হয়। অসংকোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস নিয়ে সমকালের পথচলা। এ পথচলায় তরুণপ্রাণ পাঠকই সমকালের প্রাণ। সংবাদপত্রের পাঠক তথা দেশের সচেতন অংশ হিসেবে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য দায়বদ্ধতা এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই আমাদের। সুন্দর মানুষ হওয়ার পাশাপাশি সাংগঠনিক চর্চার মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধ-সুন্দর এক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন– সময়কালের জেলা প্রতিনিধি সাজ্জাদ রানা, জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এসএম সরোয়ার পারভেজ, সরকারি কলেজ কমিটির সভাপতি ওয়াছ করুনী ফারাবি, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, সদস্য শাহিন আলম, আব্দুর রহমান, আব্দুল আজিজ প্রমুখ। 
সাধারণ সম্পাদক সুহৃদ সমাবেশ, কুষ্টিয়া

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে পুরুষ আসামির সাক্ষাৎ

বগুড়ায় আলোচিত ১৭ মামলার আসামি তুফান সরকারকে আদালতের নারী হাজতখানায় পরিবারের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আদালত পুলিশের ২ সদস্যকে প্রত্যাহার ও ৫ সাক্ষাত প্রার্থীকে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিকেলে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যাহার করা পুলিশের ২ সদস্য হলেন- সহকারী টাউন উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) জয়নাল আবেদিন ও নারী কনস্টেবল ইকসানা খাতুন।

জানা যায়, তুফান সরকার বগুড়া শহর যুব শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মজিবর সরকারের ছেলে। তিনি হত্যা, মাদক, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ ১৭ মামলার আসামি।

জানা যায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বিতীয় তলায় নারী হাজতখানার দরজা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ভেতরে তুফান সরকার, তার স্ত্রী, ছোট বোন, শাশুড়ি, স্ত্রীর বড় বোন এবং একজন আইনজীবীর সহকারী মিলে গল্প করছিলেন। পরে নারী হাজতখানায় পুরুষ আসামি ঢুকার বিষয়টি জানাজানি হলে আদালত চত্বরে হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে দ্রুত তুফান সরকারকে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে পাঠানো হয়।

এসময় তুফান সরকারের সঙ্গে দেখা করতে আসা নারী হাজত খানা থেকে ওই ৫ জন সরে যান। পরে তাদের আদালত চত্বর থেকে আটক করে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়।

আটক ৫ জন হলেন, তুফানের শাশুড়ি তাসলিমা বেগম, তুফান সরকারের স্ত্রী আশা বেগম, শ্যালিকা ফেরদৌসি বেগম, শ্যালক নয়ন, তুফানের আইনজীবীর সহকারী হারুনুর রশিদ।

বগুড়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সকালে তুফান সরকারকে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতে হাজিরার জন্য কারাগার থেকে আনা হয়। কারাগার থেকে আনা অন্য সব হাজতিকে দুপুরের মধ্যেই প্রিজন ভ্যানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু বাদ পড়ে তুফান সরকার। হাজতখানার চাবি এটিএসআই জয়নাল আবেদিনের কাছে থাকে। তুফান সরকারকে কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করার সুযোগ করে দেয় জয়নাল আবেদিন। আদালতের সবার অগোচরে ঘটনাটি ঘটে।

বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, পুরুষ আসামিকে নারী হাজত খানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে এটিএসআই জয়নাল আবেদিন ও এক নারী কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।  পুলিশের আরও যাদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এক কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। পরে শালিস ডেকে ভুক্তভোগী নারী ও তার মা'কে দোষী উল্লেখ করে মারধর করে এবং মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয় তুফান সরকার। সেই ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে তুফান সরকার গ্রেপ্তার হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ