Samakal:
2025-01-31@11:59:32 GMT

নবজাতক যখন আইসিইউতে

Published: 13th, January 2025 GMT

নবজাতক যখন আইসিইউতে

নবজাতক আইসিইউ বলতে আমরা কী বুঝি? 
নবজাতক আইসিইউ হাসপাতালের এমন একটি বিশেষ অংশ যেখানে জন্মের পর থেকে শুরু করে ২৮ দিন বয়সী বিভিন্ন রকম অসুস্থ নবজাতককে চিকিৎসার জন্য রাখা হয়।
কী ধরনের শিশুকে আইসিইউতে রাখা হয়? 
যেসব নবজাতক অত্যন্ত স্বল্প ওজনের (আড়াই কেজির কম), সময়ের  অনেক আগে (৩৭ সপ্তাহের আগে) জন্মগ্রহণ করেছে, শ্বাসকষ্ট আছে, যেসব বাচ্চা জন্মের পরপর কান্না করেনি বা শ্বাস নেয়নি কিংবা গুরুতর ধরনের জন্ডিসে আক্রান্ত অথবা জীবাণু সংক্রমণে আক্রান্ত এবং যাদের বিভিন্ন ধরনের জন্মগত ত্রুটি বা জটিলতা আছে এবং অপারেশন প্রয়োজন তাদের নবজাতক আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। 
আইসিইউতে বাচ্চাদের কীভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়?
যেসব বাচ্চা সময়ের আগে জন্মগ্রহণ করে, ওজন কম এবং শ্বাসকষ্ট বা অন্য জটিলতা থাকে তাদের আমরা ওয়ার্মার বা ইনকিউবেটরে রাখি, যাতে শরীরে তাপমাত্রা বজায় থাকে। তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে অক্সিজেনের মাত্রা বজায় আছে কিনা, তা মনিটর করা হয়। প্রয়োজনমতো অক্সিজেন বা কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়া হয়। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ওষুধ দেওয়া হয়। যাদের জন্ডিস বেশি, তাদের জন্য ফটো থেরাপির ব্যবস্থা করা হয়। কোনো বাচ্চার যদি জন্মগত ত্রুটি থাকে তাহলে তাদের অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়। রক্তে জীবাণু সংক্রমণ বা নিউমোনিয়া থাকলে যথাযথ অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। এখানে উল্লেখ্য, আলোক নবজাতক আইসিইউতে (Aalok NICU) সব ধরনের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে। 
আইসিউতে কতদিন থাকা প্রয়োজন?
যদি সামান্য অসুস্থতা থাকে তাহলে দেখা গেছে কোনো বাচ্চাকে তিন-চার দিন পরই ছুটি দেওয়া সম্ভব। কোনো কোনো বাচ্চার ক্ষেত্রে বেশি সময় প্রয়োজন হতে পারে, সেটি বাচ্চার ওজন এবং তার শারীরিক জটিলতার ওপরে নির্ভর করে। 
আইসিউতে থাকাকালে বাচ্চার খাবার-দাবারের ব্যবস্থা কী?
সাধারণত প্রথম দুই-এক দিন বাচ্চার হজমশক্তি পর্যবেক্ষণ করতে হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে অল্প পরিমাণ করে মায়ের দুধ শুরু করা হয়, সঙ্গে পুষ্টির স্যালাইন চলতে থাকে। এক সময় বাচ্চার অবস্থা বুঝে তাকে  সরাসরি বুকের দুধ টেনে খেতে দেওয়া হয়। 
নবজাতক আইসিইউতে থাকলে ভবিষ্যতে কি তার কোনো সমস্যা হতে পারে?
নবজাতক অবস্থায় সঠিক সময়ে চিকিৎসা দিতে পারলে ভবিষ্যতে তার পরিপূর্ণভাবে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। যদি সময়মতো চিকিৎসা না দেওয়া হয় তাহলে বরং জটিলতা হতে পারে। 
এমন হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

[কনসালট্যান্ট, গাইনি অ্যান্ড অবস
চেম্বার: আলোক মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার]

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ