সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে পিলখানা হত্যাকাণ্ড পুনঃ তদন্তে গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন। আজ সোমবার কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা সেনা সদর দপ্তরে সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাঁরা সেনাপ্রধানের সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতে তদন্ত কমিশন বিশেষত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছে। সেনাবাহিনী প্রধান এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এ সময় তদন্ত কমিশনের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.

) মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. সাইদুর রহমান, যুগ্ম সচিব মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, ডিআইজি (অব.) এম আকবর আলী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মো. শরীফুল ইসলাম ও মো. শাহনেওয়াজ খান উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ