চট্টগ্রামে ইসকনের সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানো ঘিরে হামলা-ভাঙচুর মামলার আসামি ৬৩ আইনজীবীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালতে আইনজীবীরা একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সবার জামিন মঞ্জুর করেন। আসামিপক্ষের শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরীসহ এক ডজনের বেশি সিনিয়র আইনজীবী।

৬৩ জনের জামিনের প্রতিবাদে আদালত চত্বরে মিছিল করেন শতাধিক আইনজীবী। তাদের ইসকনবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়। জামিন শুনানি ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছিল। 

আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম আদালত এলাকার পাশেই আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার ঘটনায় আমিও ব্যথিত। জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। এ ঘটনা ঘিরে আরও তিনটি মামলা হয়। আলিফের ভাই বাদী হয়ে ভাঙচুরের মামলার আসামি ৬৩ আইনজীবীর জামিন শুনানি করতে জামিনের আবেদন করি। শুনানি শেষে মামলার পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছেন। সুব্রত চৌধুরী অভিযোগ করেন, আইনজীবীদের যে মামলায় আসামি করা হয়েছে, এর সঙ্গে তারা সম্পৃক্ত নন। অনেকে সেই দিন কোর্টেও ছিলেন না। যিনি মামলা করেছেন তিনি নিজেও ঘটনাস্থলে ছিলেন না। আলামতও মামলায় দিতে পারেননি। আমরা বিষয়গুলো আদালতের কাছে তুলে ধরেছি।

বাদীর আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুল আলম বলেন, আদালত যাদের জামিন দিয়েছেন, তারাই ঘটনার দিন উস্কানিদাতা ছিলেন। বিস্ফোরক আইনের মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে আসামিদের জামিনের নজির নেই। কিন্তু আজ আদালত এ মামলায় ৬৩ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন। এ ধরনের আদেশে আমরা ক্ষুব্ধ।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ২৫ নভেম্বর চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে জামিন নামঞ্জুর হয়। এ ঘটনার জেরে তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ ও পরে আইনজীবীদের সংর্ঘষ হয়। সেখানে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সাইফুলের ভাই খানে আলম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ভাঙচুরের অভিযোগে বিস্ফোরক আইনে একই থানায় আরেকটি মামলা করেন। সেখানে ৬৬ আইনজীবীকে আসামি করা হয়। তার মধ্যে ৬৩ জন আজ জামিন পেয়েছেন। তিনজন অসুস্থ থাকায় জামিন নিতে আসেননি। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পেছালো খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্য

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিলো। তবে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।

এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া জানান, মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের সাক্ষ্য হয়েছে।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা  জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছর ১৯ মার্চ  একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক রয়েছেন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদারীপুরে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইমদাদুল, সাধারণ সম্পাদক শাকিল
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি
  • চাঁদপুরে আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জহির, সম্পাদক ফয়সাল
  • ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত
  • সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন তিন দিনের রিমান্ডে
  • সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন ৩ দিনের রিমান্ডে
  • আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সরে দাঁড়াতে বিক্ষোভ
  • বিএনপি-জামায়াত লড়াই, বর্জন আ’লীগ-বামদের
  • সালমান এফ রহমানের আইনজীবীদের তোপের মুখে সাংবাদিকরা
  • পেছালো খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্য