হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন পেলেন ৬৩ আইনজীবী
Published: 13th, January 2025 GMT
চট্টগ্রামে ইসকনের সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানো ঘিরে হামলা-ভাঙচুর মামলার আসামি ৬৩ আইনজীবীকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালতে আইনজীবীরা একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সবার জামিন মঞ্জুর করেন। আসামিপক্ষের শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরীসহ এক ডজনের বেশি সিনিয়র আইনজীবী।
৬৩ জনের জামিনের প্রতিবাদে আদালত চত্বরে মিছিল করেন শতাধিক আইনজীবী। তাদের ইসকনবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়। জামিন শুনানি ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছিল।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম আদালত এলাকার পাশেই আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার ঘটনায় আমিও ব্যথিত। জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। এ ঘটনা ঘিরে আরও তিনটি মামলা হয়। আলিফের ভাই বাদী হয়ে ভাঙচুরের মামলার আসামি ৬৩ আইনজীবীর জামিন শুনানি করতে জামিনের আবেদন করি। শুনানি শেষে মামলার পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছেন। সুব্রত চৌধুরী অভিযোগ করেন, আইনজীবীদের যে মামলায় আসামি করা হয়েছে, এর সঙ্গে তারা সম্পৃক্ত নন। অনেকে সেই দিন কোর্টেও ছিলেন না। যিনি মামলা করেছেন তিনি নিজেও ঘটনাস্থলে ছিলেন না। আলামতও মামলায় দিতে পারেননি। আমরা বিষয়গুলো আদালতের কাছে তুলে ধরেছি।
বাদীর আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুল আলম বলেন, আদালত যাদের জামিন দিয়েছেন, তারাই ঘটনার দিন উস্কানিদাতা ছিলেন। বিস্ফোরক আইনের মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে আসামিদের জামিনের নজির নেই। কিন্তু আজ আদালত এ মামলায় ৬৩ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন। এ ধরনের আদেশে আমরা ক্ষুব্ধ।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ২৫ নভেম্বর চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে জামিন নামঞ্জুর হয়। এ ঘটনার জেরে তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ ও পরে আইনজীবীদের সংর্ঘষ হয়। সেখানে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সাইফুলের ভাই খানে আলম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ভাঙচুরের অভিযোগে বিস্ফোরক আইনে একই থানায় আরেকটি মামলা করেন। সেখানে ৬৬ আইনজীবীকে আসামি করা হয়। তার মধ্যে ৬৩ জন আজ জামিন পেয়েছেন। তিনজন অসুস্থ থাকায় জামিন নিতে আসেননি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানি আজ
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে আজ মঙ্গলবার। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য রয়েছে।
এটিএম আজহারের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করে আদেশ দেন। আদালতে আবেদনটি উপস্থাপন করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আজহারুল ইসলামের রিভিউ মঞ্জুর করে আপিলের অনুমতি দিয়ে (লিভ গ্রান্ট করে) ২২ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীদের আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়। তার পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রসিকিউশন পক্ষকে সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলে আদালত।
মুক্তিযুদ্ধকালীল মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরবর্তীতে আপিল বিভাগের রায় রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আবেদন করেন এই জামায়াত নেতা।