কর্তৃপক্ষের টালবাহানা নয় যানজটমুক্ত নারায়ণগঞ্জ চাই : গণসংহতি আন্দোলন
Published: 13th, January 2025 GMT
যানজটমুক্ত নারায়ণগঞ্জের দাবিতে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকাল ৪ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব এবং সমাবেশ পরিচালনা করেন নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রানী সরকার।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত কয়েক মাস যাবত নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অসহনীয় যানজটের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে যানজট কমানো ও উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।
ট্রাফিক পুলিশের অব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট বাসস্টপেজে যাত্রী ওঠানামা না করানো, মোড়ে মোড়ে পুলিশ ও তার সহোযোগিদের চাঁদাবাজি, মুল রাস্তায় যত্রতত্র পার্কিং ও রাস্তার উপর দোকান বসিয়ে নগরীর মুল শহর গুলোর পুরো পরিবহন ব্যবস্থাই ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, এর ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষের অমূল্য সময় নষ্ট হচ্ছে। এই অব্যবস্থাপনা দূর করতে অবিলম্বে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় যানজট কমানো ও উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশের সভাপতি নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব বলেন, রাস্তায় ফুটপাতে ময়লার গাড়ি যত্রতত্র রেখে রাস্তাকে সংকীর্ণ থেকে আরও সংকীর্ণতর করে ফেলা হচ্ছে। ট্রাফিক আইন অমান্য করার ফলে রাস্তার স্বাভাবিক শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে।
এ ছাড়া চালকের অদূরদর্শিতা, শহরমুখী মানুষের স্রোত, অপ্রশস্ত রাস্তা প্রভৃতি বিষয়ও যানজটের অন্যতম কারণ। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, রাস্তার স্বল্পতা, ব্যক্তিগত গাড়ি বৃদ্ধি, ফুটপাত ও রাস্তা দখল, গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনা এবং সমন্বয়হীনতা-এসব মিলে এই যানজট পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
একটি মেগাসিটিতে শহরের আয়তনের ২৫ শতাংশ রাস্তা থাকতে হয়। এসব সড়কের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ আবার পার্কিং ও হকারদের দখলে থাকে। শহরের হাতে গোনা কয়েকটি সড়ক ছাড়া বেশির ভাগ সড়কের ফুটপাত দিয়েই হাঁটার জো নেই।
পরিবহন কর্তৃপক্ষ, ট্রাফিক পুলিশ, বিআরটিএসহ নানা সংস্থার কার্যক্রম এর সঙ্গে জড়িত। যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে, অতিরিক্ত প্রাইভেট কারের উপস্থিতি, রাস্তার যানবাহনের প্রায় ৮০ শতাংশ প্রাইভেট কার, মোট রাস্তার ৫৪ দশমিক ২ শতাংশ। দীর্ঘক্ষণ গাড়ির ইঞ্জিন চালু থাকার ফলে নগরীর বায়ু দূষিত হচ্ছে। ফলে অ্যাজমা, হাঁপানিসহ নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার যগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান , মহানগর কমিটির সমাজকল্যান সম্পাদক মোঃ বকুল মিয়া, প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, মহানগর কমিটির সদস্য মোঃ শাহজালাল, নারী সংহতি'র আহ্বায়ক নাজমা বেগম, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক আব্দুলাহ আল মামুন প্রমুখ।
.উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদাবাজি ও মাস্তানি করলে বিএনপিতে স্থান হবে না
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এম জি মাসুম রাসেল বলেছেন, রাজনীতি করতে হলে চরিত্র ভালো করতে হবে। চরিত্র খারাপ করে রাজনীতি করলে একসময় জনরোষের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালাতে হয়।
নারায়ণগঞ্জ থেকেও অনেকেই পালিয়েছে। অত্যাচার, নির্যাতন, খুন ও গুম করে ক্ষমতায় থাকা যায়না। ক্ষমতায় থাকতে হলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হয়।
মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে পারলে আওয়ামী লীগের মত দিনের ভোট রাতে দিতে হবে না। সৎ ও ভালো মানুষের স্থান সব সময় মানুষের হৃদয়ে থাকে। তাই আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হতে বিএনপিকে ভালো কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে।
আমাদের নেতা তারেক রহমানের পরিস্কার নির্দেশনা রয়েছে চাঁদাবাজি ও মাস্তানি করলে বিএনপিতে স্থান হবে না। কতিপয় বিএনপি নামধারী ও দুস্কৃতিকারীদের অপকর্মের কারণে দীর্ঘ ১৭ বছর অন্দোলন সংগ্রাম করে অর্জিত সফলতাকে নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।
শনিবার (১ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে মধ্য সানারপাড় এলাকায় নাসিক ১ থেকে ৫ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির নির্দেশে সভায় উপস্থিত সকল নেতাকর্মীদের কাছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা।
এছাড়াও অতিথিদের বক্তব্য দেওয়ার আগে দলীয় অগ্রগতি সম্পর্কে উপস্থিত কর্মীদের কাছ থেকে উন্মক্ত মতামত গ্রহণ করা হয়। মতামত প্রদানকালে ওয়ার্ড কমিটিতে যেন কিছুতেই আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের লোকজন স্থান না পায়, সে বিষয়টির প্রতি গুরুত্বদেন নেতাকর্মীরা।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. রিপন সরকারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রেদোয়ান হোসেন পাপ্পুর সঞ্চালনায় এ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ চৌধুরী ফয়সাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এম আর গণি মোস্তফা এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রহমান রাজিব, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন মির্জা জনি, যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম, মো: শাহীন আহম্মেদ, মেহেদী হাসান (মিঠুন), আক্তার হোসেন, সদস্য আনিসুল হক বাবু, আক্তার হোসেন টুটুল, মো: ইসমাঈল খান ও মো: হাসানুজ্জামান লিমন (সহ-দপ্তর) ও শরিফুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম মাস্টার, যুগ্ম আহ্বায়ক আহম্মেদ হুমায়ুন কবির, নুরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল হোসেন (সুহিন), লুৎফর রহমান রাসেল, আশরাফুল ইসলাম, মো: শহীদুল্লাহ প্রধান সেলিম, মো: মনোয়ার বিন রশিদ (কর্ণেল অব.), সদস্য রবিউল ইসলাম বাবু (দপ্তরের দায়িত্বে), মো: আল আমিন, জাহিদুল ইসলাম, আল আমিন শেখ, মো: ইব্রাহিম খলিল, মো: মিজান, মো: ইউসুফ মোল্লা স্বপন, খাজা মহিউদ্দিন হিরা, মো: মিরাজ, মো: মনির হোসেন, মো: রিয়াজ উদ্দিন, মো: জাহিদুল ইসলাম রনি, সোহাগ মিয়া, মো: সফিকুল ইসলাম প্রিন্স, মো: সুমন মিয়া, মো: রাজু আহম্মেদ, মো: আল আমিন জমাদ্দার, ইঞ্জি. রাসেল পাটোয়ারী ও মো: শাহ আলম।
সভাশেষে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ও সদস্য পদের জন্য সদস্য ফরম বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি এম জে মাসুম রাসেল। একই দিন বিকেল ৪ টায় একই অতিথিদের উপস্থিতিতে গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নাসিক ৬ থেকে ১০ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।