মাসরুর আরেফিন পুনরায় সিটি ব্যাংকের এমডি হলেন
Published: 13th, January 2025 GMT
বেসরকারি সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে পরবর্তী তিন বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ পেয়েছেন মাসরুর আরেফিন। সম্প্রতি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক তাঁর এ নিয়োগ অনুমোদন করেছে।
সিটি ব্যাংক আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, মাসরুর আরেফিন ২০১৯ সাল থেকে টানা দুই মেয়াদে এমডি ও সিইওর দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তৃতীয় মেয়াদে তিনি এ পদে নিয়োগ পেলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ছয় বছরে মাসরুর আরেফিন সিটি ব্যাংককে ভিন্নতর উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এ সময় ব্যাংকের বার্ষিক আয় ১ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকায় এবং পরিচালন মুনাফা ৬৬৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার ২৮৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। তার নেতৃত্বে সিটি ব্যাংক ২ হাজার কোটি টাকার মুনাফার ক্লাবে প্রবেশ করেছে।
গত ছয় বছরে ব্যাংকের আয়–ব্যয়ের অনুপাত ৫৮ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে ৪২ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে। ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য বছরে ৩৬০ কোটি (৩.
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাসরুর আরেফিনের নেতৃত্বে সিটি ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তির এজেন্ডা নিয়ে শহরভিত্তিক ব্যাংক থেকে দেশের আপামর মানুষের ব্যাংক হওয়ার পথে এগিয়েছে। তিনি ব্যাংকে ডিজিটাল ন্যানো লোন, এজেন্ট ব্যাংকিং এবং ক্ষুদ্র ও মাইক্রোফাইন্যান্স বিভাগ চালু করেছেন। পাশাপাশি সিটিটাচ ডিজিটাল ব্যাংকিংকে আরও জনপ্রিয় করার কাজ করেছেন। ২০২৪ সালে সিটিটাচে ১ লাখ কোটি টাকার বেশি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে।
মাসরুর আরেফিন ১৯৯৫ সালে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে যোগ দিয়ে ব্যাংকিং পেশা শুরু করেন। ৩০ বছরের কর্মজীবনে তিনি এএনজেড ব্যাংক মেলবোর্ন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কাতার, সিটি ব্যাংক এনএ, আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
অভিজ্ঞ এই ব্যাংকার বরিশাল ক্যাডেট কলেজের সাবেক ক্যাডেট। তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর, মেলবোর্নের ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ এবং পরে ফ্রান্সের ইনসিয়াড বিজনেস স্কুল থেকে উচ্চতর আর্থিক ব্যবস্থাপনার ওপরে কোর্স সম্পন্ন করেন।
মাসরুর আরেফিন একজন ঔপন্যাসিক, কবি এবং অনুবাদক হিসেবেও পরিচিত।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।