৭ জানুয়ারি প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত ‘পান্থকুঞ্জসহ সব গণপরিসর পুনরুদ্ধারের এখনই সময়: ইকবাল হাবিব’ শীর্ষক সাক্ষাৎকারের বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছে ‘বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন’।

৭ জানুয়ারি পাঠানো বক্তব্যে গাছ রক্ষা আন্দোলন বলেছে, পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিল ধ্বংস করে নির্মিতব্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিলের জন্য বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন ২৬ দিন ধরে ২৪ ঘণ্টা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে তাদের পরিচয় শুধু পরিবেশবাদী হিসেবে উপস্থাপন করায় আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন।

বক্তব্যে বলা হয়েছে, আন্দোলনের ২২ দিন ধরে বাপা, গ্রীন ভয়েসসহ অন্যান্য সংগঠন থেকে আমাদের সঙ্গে সংহতি জানানোর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। পরে হঠাৎ ২ জানুয়ারি বাপা ও গ্রীন ভয়েসের নেতৃত্বে দুই শতাধিক লোক আমাদের আন্দোলন স্থানে উপস্থিত হন। ২২ দিন ধরে চলা আন্দোলনে তাঁদের অনুপস্থিতির কারণ ও বাপার সহসভাপতি ইকবাল হাবিবের প্রকল্পসংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে পার্কে অবস্থানরত পাঁচজন আন্দোলনকারীর ওপর বাপার সভাপতির উপস্থিতিতে, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির ও যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে আক্রমণ চালানো হয়, যার প্রমাণ প্রথম আলোর রিপোর্টেই রয়েছে (লিংক )। আমাদের ওপর আক্রমণের এত প্রমাণ থাকার পরও এটিকে পরিবেশবাদীদের বচসা হিসেবে উল্লেখ করাকে আমরা অন্যায় বলে মনে করছি। আমরা চাই, এ বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হোক।

বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের বক্তব্যে বলা হয়েছে, ইকবাল হাবিব তাঁর প্রকল্পসংশ্লিষ্টতা নিয়ে নানাবিধ ধোঁয়াশা তৈরি করেছেন। তিনি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন যে তাঁরা এই প্রকল্পের ‘ইএমপি’ বা ‘এনভায়রনমেন্টাল মিটিগেশন প্ল্যান’ প্রণয়ন করার চেষ্টা করেছেন মাত্র।

কিন্তু তাঁর কোম্পানির ওয়েবসাইটে গেলে দেখা যায়, তিনি ‘Architectural Acclimatization of the Piers on the Hatirjheel Area with Landscaping and Environmental Beautification for Sonargaon Interchange Alignment of Dhaka Elevated Expressway PPP Project’ শীর্ষক প্রকল্পের টিম লিডার। Landscaping এবং Environmental Beautification–এর নামে পরিবেশ ধ্বংসকারী এই প্রকল্পের জন্য পান্থকুঞ্জ পার্কের ৪৫ প্রজাতির ২ হাজার গাছ কাটা পড়েছে এবং হাতিরঝিল ভরাট করা হয়েছে। পরিবেশবিধ্বংসী এমন কর্মকাণ্ডকে এনভায়রনমেন্টাল মিটিগেশন প্ল্যান হিসেবে উপস্থাপন করার বিরোধিতা জানায়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ