মৃত ব্যক্তির ভুয়া জন্ম নিববন্ধনের সনদ করার সময় আটক ১
Published: 13th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে মৃত বৃদ্ধির নামে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন করার সময় সিদ্দিকুর রহমান নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে নগর ভবনের ৪র্থ তলায় এ ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে নাসিক ১৪নং ওয়ার্ডে সচিব মো.ইমরান হোসেন জিসান জানান, বাবুরাইল এলাকা থেকে সিদ্দিকুর রহমান নামে একজন ব্যক্তি আনোয়ার হোসেন আনু নামে একটি নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে আসে। কিন্তু আমরা অনলাইনে দেখলাম আনোয়ার হোসেন আনু নামে যে জন্ম নিববন্ধন করার জন্য কাগজ-পত্র দেওয়া হয়েছে তার সকল তথ্য ছিলো ভুল।
সেখানে আনোয়ার হোসেন আনুর স্থায়ী ঠিকানা দেওয়া হয়েছে জামালপুর সরিষাবাড়ি। কিন্তু আনোয়ার হোসেন আনু নামে একটি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ ও এনআইডি কার্ড রয়েছে। যে নাসিক ১৪নং ওয়ার্ডের ভোটার।
কিছু দিন আগে তাকে হত্যা করা হয়। বর্তমানে সেই হত্যা মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু আজ একজন ব্যক্তির তার নামে আরও একটি ভুয়া জন্ম নিবন্ধন করতে আসে।
তিনি আরো জানান, যে ব্যক্তিটি এই ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ করতে আসছে তার নাম সিদ্দিকুর রহমান, পিতা চড়ু মিয়া, বাবুরাইল এলাকায় তার বাড়ি। আমরা তাকে আটক করার পরে তার থেকে জানলাম নুর আলম নামে একজন তাকে পাঠিয়েছে।
এই নুর আলম নিহত আনোয়ার হোসেন আনুর শ্যালক। আমরা তার পরিবারকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
.উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার ঠিকাদারির লাইসেন্স ছিল, জানিয়ে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘বাবার ভুলের জন্য’ ক্ষমা চেয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি আজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে ক্ষমা চান।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি জানিয়ে গতকাল বুধবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দেন এক গণমাধ্যম কর্মী। তিনি বিষয়টির সত্যাসত্য জানতে চান আসিফ মাহমুদের কাছে। আসিফ মাহমুদ খোঁজ করে জানান যে, তাঁর বাবার লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়টি সঠিক। আর বিষয়টি তাঁকে জানান বলেও ওই গণমাধ্যম কর্মী তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন। এরপরই আজকে আসিফ মাহমুদ বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দিলেন। সেটি হুবুহু তুলে ধরা হলো:
‘প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
গতকাল রাত ৯ টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সাথে কথা বলে নিশ্চিত হলাম তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার এর কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন। বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম।
আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য বাবাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন। রাষ্ট্রের যেকোন ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোন লাইসেন্স করতেই পারে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।
বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেন নি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী সময়ে উক্ত লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনো কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।’