ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ প্রকাশিত ‘ভারতীয় সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের পর, বাংলাদেশ কেন তুর্কি ট্যাংক কিনতে চায়?’ শিরোনামের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনটি ভুয়া বলে দাবি করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টের পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, বাংলাদেশ তুর্কি ট্যাঙ্ক কেনার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। 

‘‘এই ধরনের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। আমাদের দেশ আত্মরক্ষার জন্য সক্ষমতা অর্জনের অধিকার সংরক্ষণ করে’’, বলে উল্লেখ করা হয় ওই বিবৃতিতে।

১০ জানুয়ারি ইন্ডিয়া টুডে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, ভারত সীমান্তের কাছে নজরদারি ড্রোন মোতায়েনের পর বাংলাদেশ তুর্কির ট্যাংক নিতে চাওয়া, প্রতিরক্ষা কৌশলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। এটি ভারতের পূর্ব সীমান্তে নিরাপত্তার গতিশীলতা রোধ করতে পারে। 

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ