লক্ষ্মীপুরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের কষ্টি পাথরের শিবলিঙ্গ প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘরের প্রদর্শনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন শিবলিঙ্গটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক দপ্তরের গবেষণা সহকারী ওমর ফারুকের কাছে হস্তান্তর করেন। 

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল রাতে রামগঞ্জে থানার একাধিক মামলার আসামি সুমন মজুমদারকে গ্রেপ্তার করতে হরিসভা ব্রিজ এলাকায় তার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তাকে বাড়িতে না পেয়ে ফিরে আসার পথে নতুন মাটি খোঁড়া ও একটি বস্তার অংশবিশেষ দেখতে পায় তারা।

আরো পড়ুন:

যশোরে ১০ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের কৃষ্ণমূর্তি উদ্ধার 

সিলেটের সব বন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি শুরু

বোমা অথবা মাদকদ্রব্য লুকিয়ে রাখা হয়েছে সন্দেহে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে মাটি খুঁড়লে চটের বস্তার ভেতর কষ্টি পাথরটি পাওয়া যায়। পরে তা ঢাকায় পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হয়। পরে রামগঞ্জ থানার তখনকার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ইব্রাহিম মজুমদার, সুমন মজুমদার ও আব্দুস ছাত্তারের নামে মামলা করেন। 

২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে তদন্তকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০২৪ সালের ২১ মে সিনিয়র দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন মামলার রায় দেন। এতে আসামিদের প্রত্যেককে ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরো ১০ দিনের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

কষ্টি পাথরটি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশসহ যথাযথ নিয়ম অনুসারে প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তরের করতে লক্ষ্মীপুর আদালতের মালখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন বিচারক।

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ