বদলীজনিত বিদায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা।

সোমবার (১৩ জানুয়ারী) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা সার্কিট হাউসে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও পরিবহন নেতা সাখাওয়াত হোসেন রানা'র নেতৃত্বে বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনটির নেতৃবৃন্দরা।

এসময় সাখাওয়াত হোসেন রানা বলেন, এমন মানবিক গুণসম্পন্ন ডিসির কথা ভোলা যায় না। তার সততা, কর্মনিষ্ঠা এবং মানবিকতায় আমরা মুগ্ধ। তার মতো ডিসি যদি প্রতিটি জেলায় থাকতো তাহলে মানুষ অতি সহজেই সেবা পেত। নারায়ণগঞ্জের বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক গত দেড় বছরে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে এসে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মন জয় করে গেলেন। তার বদলির খবর শুনে অনেকেই অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক যোগদান করেই তার মেধা ও কর্মদক্ষতা দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে নারায়ণগঞ্জবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। যখনি কোথাও কোনও সংকট দেখেছেন তিনি ছুটে গেছেন। পাশে দাঁড়িয়েছেন সবার বিপদ-আপদে।

প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তি ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষদেরও আস্থার যায়গা ছিল মোহাম্মদ মাহমুদুল হক। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে আমরা জেলা প্রশাসকের সাফল্য কামনা করি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি রওশন আলী, শ্রমিক দলের নেতা মো.

দুলাল, বাঁধন পরিবহনের নেতা মোঃ মঈন, মোঃ চঞ্চল, আনন্দ পরিবহনের নেতা মোঃ সুলতান, পরিবহন নেতা মোঃ জাকির ও মোঃ নূরু মিয়া পরিবহনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
 

উৎস: Narayanganj Times

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রীকে হত্যা করে লাশের পাশেই বসেছিলেন স্বামী

স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর ছুরি হাতে লাশের পাশেই বসেছিলেন স্বামী। পরে স্থানীয়রা তাঁকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের হাইজাদী ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুলেখা বেগম (৩৫) ওই গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুর রব মিয়ার (৫০) স্ত্রী।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ২০ বছর আগে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের টোটারবাগ  গ্রামের নয়াপাড়া এলাকার আবদুল মিয়ার মেয়ে সুলেখার সঙ্গে একই ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামের মৃত চান্দু মিয়ার ছেলে রবের বিয়ে হয়। স্ত্রীর সঙ্গে রবের পারিবারিক কলহ দীর্ঘদিনের। বুধবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্ক হয়। পরে সকালে নাশতা খেয়ে সুলেখা ঘুমিয়ে পড়লে রব তাঁকে গলা কেটে হত্যা করেন। এর পর ছুরি হাতে লাশের পাশেই তাঁকে বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় এলাকাবাসী রবকে গণপিটুনি দিয়ে ঘরে আটকে রাখে। খবর পেয়ে নিহত সুলেখার স্বজনরা রবকে ঘর থেকে বের করে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

আবদুর রব মিয়ার দাবি, সুলেখা তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছেন। তাই তিনি সুলেখাকে হত্যা করেন। পুলিশের কাছে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।

আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আবদুর রব মিয়াকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। সুলেখার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুব ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত
  • মহানগর গার্মেন্টস শ্রমিকদলের ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন 
  • সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জিয়া সৈনিক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আন্তঃ কলেজ ভলিবল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন নারায়ণগঞ্জ কলেজ
  • ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক বন্দীর মৃত্যু
  • ‘এই টাকা দিলে মান-সম্মান থাকে?’ বলা সেই ওসিকে বদলি
  • শীতলক্ষ্যা নদী রক্ষার্থে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাথে নদী ভাবনা
  • সোনারগাঁয়ে জামায়াতের ব্যাপক গণসংযোগ
  • আড়াইহাজার থানার সেই ওসি এনায়েত অবশেষে বদলি
  • স্ত্রীকে হত্যা করে লাশের পাশেই বসেছিলেন স্বামী