এবার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ডিসপ্লেতে ‘ছাত্রলীগ ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ বার্তা
Published: 13th, January 2025 GMT
রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ভেসে উঠেছে 'ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে'। রোববার গভীর রাতে এই লেখা ভেসে উঠে। এ নিয়ে অধিদপ্তরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিষয়টি তদন্তে ডিএনসির পক্ষ থেকে চার সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া গেন্ডারিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
জানা গেছে, গেন্ডারিয়ায় একই ভবনে ডিএনসির ঢাকায় বিভাগীয় কার্যালয় ছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, ঢাকা জেলা ও বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়। ভবনের ছাদের বাইরের দিকে একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড রয়েছে। তাতে ২৪ ঘণ্টা মাদকবিরোধী নানা স্লোগান লেখা থাকে। লাল অক্ষরে এসব লেখা ভেসে ওঠে। রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাতে 'ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে' লেখা ভেসে উঠে। এতে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয়রা। তারা কার্যালয়ের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন।
গেন্ডারিয়া থানার ওসি আবু সাহেদ খান সমকালকে বলেন, ডিসপ্লেতে ছাত্রলীগ নিয়ে ওই লেখা দেখে স্থানীয় লোকজন কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। পরে রাতে দায়িত্বরত একজন সঙ্গে সঙ্গে ডিসপ্লে বন্ধ করে দেন। লোকজনকে শান্ত করা হয়।
ওসি জানান, ডিসপ্লে বোর্ড নিয়ন্ত্রিত হয় চারতলার একটি কক্ষ থেকে। সেটি তালাবদ্ধ ছিল। জিডি হয়েছে। তদন্ত চলছে।
ডিএনসির ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক এস এম শওকত ইসলাম সমকালকে বলেন, ঘটনা তদন্তে চার সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে পরিচালক (নিরোধ ও শিক্ষা) মাসুদ হোসেনকে। এই লেখাটি কীভাবে ডিসপ্লেতে এলো তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগেও নির্বাচন কমিশনের ডিসপ্লে বোর্ড, মসজিদের স্ক্রিন ও কমলাপুর স্টেশনের স্ক্রিনে আওয়ামী লীগের পক্ষ নানা লেখা ভেসে ওঠে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’