সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী (একান্ত সচিব-২) গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর সম্পদের চেয়ে তার স্ত্রীর সম্পদ বেশি। গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্জিত সম্পদের সিংহভাগই স্ত্রীর নামে রেখেছেন। নিজের দুর্নীতির দায় এড়াতে তিনি নিজের নামে মোটা অঙ্কের সম্পদ অর্জন করেননি। দুদক সূত্রে এই খবর জানা গেছে।

সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো.

আহসানুল কবীর পলাশ বাদি হয়ে লিকু ও তার স্ত্রীর কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলাটি দুটি দায়ের করেন।

এজাহার থেকে জানা গেছে, লিকুর নামে ৫৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে। স্ত্রী রহিমা আক্তারের নামে ২৩ কোটি ২৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, আসামি গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর নামে ৩৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার স্থাবর ও ৯২ লাখ ৮৪ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। এই হিসাব থেকে তার গ্রহণযোগ্য সম্পদ বাদ দিয়ে তার নামে ৫৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া যায়।

লিকুর স্ত্রী রহিমা আক্তারের নামে ২০ কোটি ৭৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকার স্থাবর এবং ২ কোটি ৫০ লাখ ১৩ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে। এর মধ্য থেকে তার বৈধ আয়ের সম্পদ বাদ দিয়ে তার নামে ২৩ কোটি ২৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকার সম্পদের প্রমাণ মেলে। অপরাধলব্ধ অর্থ নিজের ভোগ-দখলে রেখে লিকু ও তার স্ত্রী দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে : মাজেদুল 

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেছেন, আমরা অনেকেই নামাজ পড়ি, কিন্তুু সুদখাই, আমরা নামাজ পড়ি ঘুষখাই, আমরা নামাজ পড়ি নেশার সাথে জড়িত, আমরা নামাজ পড়ি মাদক ব্যবসা করি, আমরা নামাজ পড়ি আবার অন্যেও হক মেরে খাই, আমরা দুর্বল মানুষের উপর জুলুম করি, আমি মনে করি আমাদের এই নামাজ কোন কাজে আসবে না।

আগে আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে। আমার মনের ভিতরে এমন বাসনা আনতে হবে যে আমি নামাজ পড়বো মানুষের হক মেরে খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো সুদ খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো ঘুষ খাবোনা, আমি দুর্বলের উপর জুলুম করবোনা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি দক্ষিনপাড়া যুব ও কিশোর সংঘের উদ্যোগে কবরবাসীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ১৫তম বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, আজকে আমারা এখান থেকে ওয়াজ শুনে গেলাম জামাতের সাথে ফজর নামাজ পড়লাম না, তাহলে এই ওয়াজ শুনে আমাদের কোন ফয়দা হবে না। আমরা এখানে এসেছি শিখতে, আমরা এখান থেকে শিখবো এবং তা পালন করবো। আমি জানি এই এলাকায় অনেকেই অসহায়দের উপর জুলুম করে, অনেকেই মাদক ব্যবসা করে।

আল্লাহতালা যদি আমাকে কোনদিন সুযোগদেন আমি কিন্তুু আপনাদের ছাড়বো না, নেশার সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা। নেশার ব্যবসা যারা করে তাদের সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা, তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আমি যতোদিন বেচে থাকবো আপনাদের সেবা করে যাবো, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যতোদিন বেচে থাকবো এলাকার উন্নয়নে কাজ করবো।

বাইতুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি হাজী বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন মাওলানা গাজী সোলাইমান আল-কাদরী। বিশেষ বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন হযরত মাওলানা মুফতি বেলাল আহমদ ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ আমানুল্লাহ।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইতুল আতিক জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ ওমর আলী, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড্যাঃ মাসুদুজ্জামান মন্টু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক কামরুল হাসান শরীফ, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান, হাজী নুরুল ইসলাম ও লোকমান হোসেন প্রমূখ। মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা মিজানুর রহমান।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ