লিকুর চেয়ে তার স্ত্রীর সম্পদ বেশি
Published: 13th, January 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী (একান্ত সচিব-২) গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর সম্পদের চেয়ে তার স্ত্রীর সম্পদ বেশি। গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্জিত সম্পদের সিংহভাগই স্ত্রীর নামে রেখেছেন। নিজের দুর্নীতির দায় এড়াতে তিনি নিজের নামে মোটা অঙ্কের সম্পদ অর্জন করেননি। দুদক সূত্রে এই খবর জানা গেছে।
সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো.
এজাহার থেকে জানা গেছে, লিকুর নামে ৫৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে। স্ত্রী রহিমা আক্তারের নামে ২৩ কোটি ২৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, আসামি গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর নামে ৩৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার স্থাবর ও ৯২ লাখ ৮৪ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। এই হিসাব থেকে তার গ্রহণযোগ্য সম্পদ বাদ দিয়ে তার নামে ৫৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া যায়।
লিকুর স্ত্রী রহিমা আক্তারের নামে ২০ কোটি ৭৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকার স্থাবর এবং ২ কোটি ৫০ লাখ ১৩ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে। এর মধ্য থেকে তার বৈধ আয়ের সম্পদ বাদ দিয়ে তার নামে ২৩ কোটি ২৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকার সম্পদের প্রমাণ মেলে। অপরাধলব্ধ অর্থ নিজের ভোগ-দখলে রেখে লিকু ও তার স্ত্রী দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’