রাহুল গান্ধীকে ‘গাধা’ বললেন পরেশ রাওয়াল!
Published: 13th, January 2025 GMT
বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের প্রতি খুব একটা বন্ধু মনোভাবাপন্ন নন এই অভিনেতা। সুযোগ পেলেই কড়া সমালোচনা করতে দেখা যায় তাকে। এমনকি গান্ধী পরিবারকেও ছাড়েন না। এবার ইঙ্গিতপূর্ণভাবে রাহুল গান্ধীকে ‘গাধা’ বললেন এই অভিনেতা।
মূল বিষয় হলো, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি করা একটি ছবি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) পোস্ট করেছেন এক নেটিজেন। তাতে দেখা যায়, একটি গাধার মুখোমুখি বসে আছেন রাহুল গান্ধী। ছবিটির ক্যাপশনে লেখা— “কেউ কি ছবিটি থেকে গাধাকে সরিয়ে দিতে পারবেন?”
আরো পড়ুন:
নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়, সিনেমা থেকে বাদ পড়ার কারণ বললেন পরিচালক
‘তোমায় আর একবার দেখার জন্য সব করতে পারি বাবা’
এ পোস্ট নিয়ে চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়
এ ছবি পরেশ রাওয়ালের দৃষ্টি এড়ায়নি। একই পোস্ট নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন পরেশ। আর ক্যাপশনে লিখেছেন— “মানে ছবির পুরো ফ্রেমটাই তো ফাঁকা করতে চাইছ?” প্রবীণ অভিনেতার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে। অর্থাৎ ছবিটিতে একটি নয়, দুটি গাধা রয়েছে। আর বুঝতে এতটুকুও কষ্ট হয়নি নেটিজেনদেরও। তাই তো নেটিজেনদের কেউ কেউ হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছেন।
২০১৪ সালে গুজরাট অঞ্চল থেকে বিজেপির টিকিট নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন পরেশ রাওয়াল। তবে ২০১৯ সালে আর নির্বাচনে অংশ নেননি। কিন্তু বিজেপির প্রতি তার সমর্থন অটুটু রয়েছে, সে প্রমাণ বহুবার দিয়েছেন এই অভিনেতা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি ছাড়া সব পদেই আ.লীগের জয়জয়কার
মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে আওয়ামীপন্থিরা ১৪টিতে জয় পেয়েছেন। সভাপতি পদ ছাড়া অন্য সব পদে তারা জয়ী হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর অনুসারী এমদাদুল হক খান। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়াকে ৭৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।
এদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমকে ১৫৬ ভোটে পরাজিত করে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক মাহাবুব হোসেন (শাকিল)। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ১৩০ ভোট ও জালালুর রহমান পেয়েছেন ১৩০ ভোট। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম মিয়া পেয়েছেন ২৯ ভোট (নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিদ্বন্দ্বী দুজন প্রার্থীর ভোট সমান হওয়ায় পুনরায় গণনা অথবা লটারি করে বিজয়ী প্রার্থী নির্বাচন করা হবে)। সহ-সভাপতি পদে মাহবুব হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ পদে শাকিলা পারভীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-২ পদে মশিউর রহমান পারভেজ, কোষাধ্যক্ষ পদে সুজন ভৌমিক, সম্পাদক (লাইব্রেরি) পদে মুনীর হাসান, সম্পাদক (মহরার) পদে এ কে এম আজিজুল হক মুকুল নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্যনির্বাহী ৫টি পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিজয়ী ৫ জন হলেন সৈয়দা তাহমিনা খানম, এনামুল হক, আবদুস সালাম, ইকবাল হোসেন ও আবু সুফিয়ান। এ ছাড়া সম্পাদক (অ্যাপায়ন ও বিনোদন) পদে বদরুন নাহার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক গোলাম মাওলা আকন্দ মুঠোফোনে জানিয়েছেন, মাদারীপুর আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি ছাড়া ১৪টি পদেই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী কিংবা সমর্থক বিজয়ী হয়েছেন। তবে এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে সরাসরি আওয়ামী লীগের পদে থাকা কোনো নেতা অংশগ্রহণ করেননি। আওয়ামী লীগের কোনো আইনজীবী নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তিনিও অন্য সবার মতন বিজয়ী হতেন বলে আমি মনে করি। যারা নির্বাচিত হয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন।
তবে এমদাদুল হক খান সভাপতি পদে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সমর্থন নিয়েই বিজয়ী হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ। তিনি বলেন, সভাপতি পদে আওয়ামী লীগের কেউ প্রার্থী না হওয়ায় তাদের সমর্থক আইনজীবীরা নির্বাচনে মূলত এমদাদুল হক খানকেই ভোট দিয়েছেন। সেকারণেই জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়া পরাজিত হয়েছেন।
মাদারীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোখলেছুর রহমান বলেন, এমদাদুল হক খানকে নির্বাচিত করায় সব আইনজীবীদের ধন্যবাদ। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তার বিজয়ে আমরা আনন্দিত।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য মাদারীপুর আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন জানান, সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দুজন সমান ভোট পাওয়ায় তাদের ছয়মাস করে দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।