বকের রোস্ট, বালিহাঁসের মাংস হবে বলে প্রচার, শাস্তি দাবি
Published: 13th, January 2025 GMT
আজ বাসায় ‘স্পেশাল মানুষের জন্য’ হবে বকের রোস্ট। পাঁচটি বক হাতে নিয়ে এমন ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করেন আল-আমিন। ওদিকে হাতে বালিহাঁস নিয়ে তুলি বলছেন, ‘‘আমি বাড়ি গেছি বলে বাবা বিল থেকে ধরে এনেছেন হাঁসপাখি। আজ হাঁসপাখির মাংস হবে।’’
এই দুজনেই তাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন। ফেসবুকে তুলির ফলোয়ার সাড়ে ৬ লাখের বেশি। আর আল-আমিনের ফলোয়ার সাড়ে ৫ লাখের বেশি। কয়েকদিন আগে তারা ফেসবুকে বক ও বালিহাঁস নিয়ে ভিডিও প্রচার করেন। এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
বাধ্য হয়ে দুজনেই ফেসবুক থেকে ওই ভিডিও মুছে দিয়েছেন। তবে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং পরিযায়ী অতিথি পাখি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্মারকলিপি দিয়েছে রাজশাহীর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ইয়্যাসের সভাপতি শামীউল আলীম শাওন ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ ও জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারকে দেওয়া হয়। এতে আল-আমিন ও তুলির শাস্তি দাবি করা হয়।
ইয়্যাসের ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘‘আল-আমিন ও তুলি প্রকাশ্যে পরিযায়ী পাখি ধরার প্ররোচনা ও জবাই করে রোস্ট করে খাওয়ার প্ররোচনা করেছেন, যা বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’’
মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে আল-আমিন জানান, একজন সাংবাদিক তাকে ফোন করেছিলেন। এরপর তিনি ফেসবুক থেকে ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, একজন ব্লগার হিসেবে তিনি তুলিকে চেনেন। তবে তুলির বাড়ি কোথায় তা জানেন না। ফেসবুক আইডিতে থাকা তুলির মোবাইল নম্বরে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তাই তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
রাজশাহী বনবিভাগের বন্যপ্রাণি পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘‘ভিডিও দুটি পেয়েছি। ইতোমধ্যে ব্লগারদের সন্ধানে নেমেছি। তাদের একটি নম্বরে ফোন করেছিলাম। ছেলেটা বলেছে, তার বাড়ি নাটোর। রাজশাহীতে থেকে ব্লগ করে। এরপর আর কোনো কথা বলেনি। ফোন বন্ধ করে দিয়েছেন। ভিডিওটিও সরিয়ে ফেলেছেন। তাদের সন্ধান করার চেষ্টা করছি।’’
জাহাঙ্গীর কবির আরও বলেন, ‘‘দুটি পাখির ভিডিও ওই ছেলেটাই ফেসবুকে ছেড়েছেন বলে মনে হয়েছে। তার সন্ধান পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবো।’’
ঢাকা/কেয়া/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই: এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস
সম্প্রতি এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন ও দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কোম্পানিটির কাছে ব্যাখ্যা চাইলে তারা জানিয়েছে, শেয়ারের মূল্য ও লেনদেন বৃদ্ধির পেছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল সংবেদনশীল তথ্যের ভূমিকা নেই, অর্থাৎ কারসাজি নেই।
গতকাল ডিএসই এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলসের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চায়। ব্যাখ্যায় তারা উল্লিখিত বক্তব্য দেয়।
ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেখা যায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলসের শেয়ারের দাম বাড়ছে। সেদিন কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা। ১৬ ফেব্রুয়ারি তা ছিল ১০ টাকা ৭০ পয়সা। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ টাকা ৯০ পয়সায়। ২৭ ফেব্রুয়ারি তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ টাকা ৬০ পয়সায়। এরপর দাম কিছুটা কমে। দেখা যাচ্ছে, ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দাম বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ।
একইভাবে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে কোম্পানির শেয়ারের লেনদেনও বেড়েছে। সেদিন লেনদেন হয়েছে ২২ হাজার ৬৪টি শেয়ার। ১৮ ফেব্রুয়ারি তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৪৪৩টি। ২৫ ফেব্রুয়ারি তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ লাখ ৩১ হাজার ২০৫। এর পর থেকে লেনদেন কমছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ১২ ফেব্রুয়ারির তুলনায় ১৯ ফেব্রুয়ারি এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলসের শেয়ারের লেনদেন বেড়েছে ৮ হাজার ৬৫২ শতাংশ।
এস আলম কোলড রোলড অ্যান্ড স্টিলস ২০২৩ ও ২০২২ সালে ৫ শতাংশ এবং ২০২১ ও ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।