ইউআইইউতে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট রির্সাচ সিম্পোজিয়াম
Published: 13th, January 2025 GMT
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ) জাতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে গবেষণা প্রতিযোগতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ইউআইইউ এর স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের উদ্যোগে এ “আন্ডারগ্র্যাজুয়েট রির্সাচ সিম্পোজিয়াম (ইউআরএস) ২০২৪” শীর্ষক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
ইউআইইউ ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউআইইউ ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স রিসার্চের (আইএআর) নির্বাহী পরিচালক এবং পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক এমেরিটাস ড. এম রিজওয়ান খান প্রমুখ।
ইউআইইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আবুল কাশেম মিয়ার সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউআরএস২০২৪ এর আহ্বায়ক ও ইউআইইউ স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এইচআর জোয়ার্দার এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইউআইইউ স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা।
এ সিম্পোজিয়ামটি হলো পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি একাডেমিক গবেষণা প্রতিযোগিতা। বিশেষ করে ব্যবসায় বিভাগে শিক্ষার ক্ষেত্রে তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা সংস্কৃতি বৃদ্ধি করার জন্য এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
দেশের বিভিন্ন পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক তরুণ শিক্ষার্থী এই গবেষণা প্রতিযোগিতায় দুইটি ডোমেইনের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন। এদের থেকে ১০টি দলকে চুড়ান্ত পর্যায়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারীদের প্রসংশাপত্র ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় প্রতি বিষয়ে সেরা রির্সাচ পেপারকে প্রথম পুরস্কার হিসাবে ১ লাখ টাকা এবং প্রথম রানার আপকে ৬০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানার আপকে ৪০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
ডোমেইন-১ এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন, ইউআইইউ শিক্ষার্থী রামিসা রুতবাতা হোসাইন অবন্তিকা ও রাজিন আল-তানজিম ভূঁইয়া। প্রথম রানার আপ হয়েছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইয়াজ বিন জুলফিকার ও সামিহা তাসনিম প্রমি এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন আছিয়া বেগম, মারুফ হাসান আরিফ, মেসবাহ আমিন ও মাকসুদুর রহমান।
ডোমেইন-২ এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ইউআইইউ শিক্ষার্থী মুহতাসিম আহমেদ চৌধুরী। প্রথম রানার আপ হয়েছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) শিক্ষার্থী তৌসিফ আবরার ফাইয়াজ, নুর আফরিন চৌধুরী অনন্যা ও মাইশা জাহিন। দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আইবিএ এর শিক্ষার্থী তারিফ হাসান, রাফিয়া তাবাসসুম সারা ও আয়মান ইলিয়াস চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য বলেন, “একটি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে গবেষণায় জড়িত থাকা দরকার। এ ধরনের সম্পৃক্ততা তাদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য বেশি অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং ভবিষ্যতে একজন গবেষক হওয়ার জন্য এই সিম্পোজিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
ঢাকা/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’