বন্দরে অন্যের জমি জবর দখলের জন্য পুকুরের বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ।

গত রোববার (১২ জানুয়ারি)  বন্দর উপজেলার মিনারবাড়ি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। মৎস্য খামারি অভিযোগ বন্দরের মিনারবাড়ি লম্বাদরদী এলাকায় স্থানীয় সেলিম মিয়া সহ কয়েক জনের ক্রয়কৃত জমি ও পুকুর স্থানীয় শাহরিয়া, আশরাফুল,আওলাদ, আফজাল ও সালে আহাম্মদ গং জমিতে থাকা সাইনবোর্ড গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে নিয়ে যায়।

এ জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও স্থানীয় ভ’মিদস্যুরা জমি ও পুকুর দখলের জন্য সাইনবোড় কেটে নেয়া ও পুকুর বিষ ঢেলে মাছ নিধণ করার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যপারে সেলিম মিয়া জানান, ভ’মিদস্যু চক্র ৫০/৬০ জনের একটি দল চর দখরের মত পুকুর পাড়ের সাইনবোর্ডটি পিলারসহ গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ করেন। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ