যশোরে বিএনপির অফিস পোড়ানোর মামলায় আদালতে হাজিরা শেষে ঝটিকা মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের আইনজীবী সমিতির এক নম্বর ভবনের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়। পরে সেটি শহরের জিরো পয়েন্ট দড়াটানায় গিয়ে শেষ হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ আতিকুর বাবু মিছিলে নেতৃত্ব দেন। এতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী অংশ নেন।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় আওয়ামীপন্থি ৮ আইনজীবী কারাগারে
মিছিলে নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার অনুকূলে বিভিন্ন স্লোগান দেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এটি যশোরে আওয়ামী লীগের প্রথম মিছিল ছিল।
শেখ আাতিকুর বাবু জানান, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া এবং ’৭২-এর সংবিধান নিয়ে ষড়যন্ত্র করার প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ ) নূরে আলম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ আগস্ট যশোর বিএনপির অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করে ও নাম না জানা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকা/রিটন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পেছালো খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্য
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিলো। তবে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।
এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া জানান, মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের সাক্ষ্য হয়েছে।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছর ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক রয়েছেন।
ঢাকা/মামুন/ইভা