বন্দরে সাবেক চেয়ারম্যান মুকুলের উদ্যাগে চক্ষু পরীক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠিত
Published: 13th, January 2025 GMT
বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলের উদ্যাগে ৩ দিন ব্যাপী চক্ষু পরীক্ষা সেবা সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় মোবাইল আই হসপিটালের পক্ষ থেকে বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের কবিলেরমোড়স্থ সাবেক চেয়ারম্যানের বাসভবনের সামনে এ চিকিৎসা সেবার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
রেটিনা, গ্লুকোমা, কর্নিয়া, ছানি রোগী বাছাই ও চোখের যাবতীয় রোগের চিকিৎসা প্রদান করেন ফেলো মেডিকেল ও সার্জিক্যাল ভিট্রিও- রোটিনা সহকারি অধ্যাপক ডাঃ নাহাল মোস্তাক খাঁন অর্ণব।
চিকিৎসা সেবা প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন মোবাইল আই হসপিটালের এসিস্টেন এস.
সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল গণমাধ্যমকে জানান, গত শনিবার সকাল ১০টা থেকে চক্ষু পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়। আজ সোমবার চক্ষু পরীক্ষার সমাপনি অনুষ্ঠিত হয়। গত ২ দিনে চক্ষু পরীক্ষার জন্য প্রচুর রোগী সমাগম ঘটে।
উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
অদ্ভুতুড়ে আউট ঢাকা লিগে বিতর্ক
ধারাভাষ্যকার বাকরুদ্ধ। ঠিকমতো গুছিয়ে কথা বলতে পারছিলেন না। স্রেফ বললেন, ‘‘এর আগে আমি কখনও এমন কিছু দেখিনি। ব্যাটসম্যান কেন ব্যাট ক্রিজের ভেতরে নিচ্ছেন না।’’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মিরপুর শের-ই-বাংলায় দুটি স্টাম্পিংকে ঘিরে প্রবল আলোচনা, প্রশ্ন ও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচকে ঘিরে তেমন উত্তেজনা ছড়ানোর কথা না। এই ম্যাচটি গুলশানের জন্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ। শাইনপুকুরের জন্য তেমন বড় কিছু নয়।
সুপার লিগ নিশ্চিত করতে গুলশানের শেষ দুই রাউন্ডে একটি জয় চাই। ১৭৮ রানের পুঁজি নিয়ে শাইনপুকুরকে ৫ রানে হারিয়ে জয় তুলে নিয়ে ১৩ পয়েন্টে সুপার লিগ নিশ্চিত হয়ে গেছে। কিন্তু শাইনপুকুরের দুই ব্যাটসম্যানের চরম হতশ্রী আউটে উঠেছে প্রশ্ন।
আরো পড়ুন:
পারিশ্রমিক না পেলে ম্যাচ বয়কটের হুমকি পারটেক্সের
আবাহনীর মুখোমুখির আগে মোহামেডানের আত্মবিশ্বাসী জয়
ইনিংসের ৩৬তম ওভারে নিহাদ উজ জামানের বলে ক্রিজের বাইরে বেরিয়ে আসেন রহিম আহমেদ। বল ছিল অফস্টাম্পের বাইরে। ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মাঝ বরাবর। টার্ন মিস করলেও বল খেলার কোনো চেষ্টা ছিল না তার। বরং ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন। পরবর্তীতে পেছনে না ফিরে ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটা দেন।
ইনিংসের শেষ দিকে ম্যাচে রোমাঞ্চ ছড়ায়। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৭ রান প্রয়োজন ছিল শাইনপুকুরের। হাতে কেবল ১ উইকেট। নাঈম ইসলামের করা প্রথম বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান ব্যাটসম্যান মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির। বল তখন ওয়াইড হয়েছে। শট খেলার কোনো চেষ্টাই করেননি মিনহাজুল। হাঁটু গেড়ে মাটিতে বসে পড়েন। পরবর্তীতে ক্রিজে ব্যাট রাখার যথেষ্ট সময় পেলেও করেননি।
উইকেটকিপার ইমন প্রথম দফায় চেষ্টা করেছিলেন স্ট্যাম্প ভাঙার। কিন্তু পারেননি। ওই সময়ে ব্যাট ক্রিজের বাইরে রেখে পুরোটা সময় তাকিয়ে ছিলেন ব্যাটসম্যান মিনহাজুল। পরবর্তীতে স্ট্যাম্প ভাঙলে আম্পায়ার আউট দেন। ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাটসম্যানের এমন আউটে রীতিমত তোলপাড় ক্রিকেটাঙ্গন।
ম্যাচ শেষে এই দুই আউট নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউই কথা বলেননি। তবে ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারে সিসিডিএম।
বিতর্ক ছড়ানো এই ম্যাচে গুলশানোর জয়ের নায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৬ রান করলেও বোলিংয়ে ২০ রানে ৩ উইকেট নেন। ৩ উইকেট পেয়েছেন নিহাদুজ্জামানও। এছাড়া ব্যাটিংয়ে তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন শাহরিয়ার সাকিব।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল