বন্দরে হেফাজত নেতা নূর হোসেনকে কুপিয়েছে সিফাত বাহিনী
Published: 13th, January 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সহ-সভাপতি মোঃ নূর হোসেনকে হত্যার চেষ্টায় কুপিয়েছে উঠতি সন্ত্রাসী শেখ সিফাত ওরফে কাটা সিফাত বাহিনী।
রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহত নূর হোসেনকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে নারায়ণগঞ্জ শহরের আল কারীম হসপিটালে প্রেরণ করা হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত নূর হোসেনের আশংকা কাটেনি। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আহতের পারিবারিক সূত্র ও স্থানীয়রা জানায়,আওয়ামীলীগের শাসনামলে বন্দর শাহী মসজিদ এলাকার শেখ শাহিনের ছেলে সিফাত ওরফে কাটা সিফাত ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা বন্দর শাহী মসজিদ, খালপাড়, রাজবাড়ী, দত্তবাড়ী, হাফেজীবাগ, সালেহনগর ও রেল লাইনসহ আশ পাশের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল।
৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তণের পর পরই এলাকাবাসী শেখ সিফাতের বাড়ী-ঘরে হামলা ভাংচুর চালায়। এরপর থেকে শেখ সিফাত গা ঢাকা দেয়। এরই মধ্যে গত কয়েকদিন পূর্বে বন্দর শাহী মসজিদ খালপাড় এলাকা থেকে পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র উদ্ধার করে।
সে সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সহ-সভাপতি মোঃ নূর হোসেন অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে লাইভ করে। লাইভে অস্ত্রটি শেখ সিফাতের বলে উল্লেখ করেন।
এর জের ধরে শেখ সিফাত গং গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় নূর হোসেনকে খালপাড় মাদ্রাসা সংলগ্ন স্থানে একা পেয়ে এলোপাথাড়িভাবে কোপায়। নূর হোসেনের ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে অবস্থা বেগতিক বুঝে হামলাকারী সিফাত বাহিনী সটকে পড়ে।
উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীকে হত্যা করে লাশের পাশেই বসেছিলেন স্বামী
স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর ছুরি হাতে লাশের পাশেই বসেছিলেন স্বামী। পরে স্থানীয়রা তাঁকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের হাইজাদী ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুলেখা বেগম (৩৫) ওই গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুর রব মিয়ার (৫০) স্ত্রী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ২০ বছর আগে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের টোটারবাগ গ্রামের নয়াপাড়া এলাকার আবদুল মিয়ার মেয়ে সুলেখার সঙ্গে একই ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামের মৃত চান্দু মিয়ার ছেলে রবের বিয়ে হয়। স্ত্রীর সঙ্গে রবের পারিবারিক কলহ দীর্ঘদিনের। বুধবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্ক হয়। পরে সকালে নাশতা খেয়ে সুলেখা ঘুমিয়ে পড়লে রব তাঁকে গলা কেটে হত্যা করেন। এর পর ছুরি হাতে লাশের পাশেই তাঁকে বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় এলাকাবাসী রবকে গণপিটুনি দিয়ে ঘরে আটকে রাখে। খবর পেয়ে নিহত সুলেখার স্বজনরা রবকে ঘর থেকে বের করে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
আবদুর রব মিয়ার দাবি, সুলেখা তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছেন। তাই তিনি সুলেখাকে হত্যা করেন। পুলিশের কাছে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আবদুর রব মিয়াকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। সুলেখার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।