হাসানুজ্জামান রিপনের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধান বিচারপতি
Published: 13th, January 2025 GMT
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহা. হাসানুজ্জামান রিপনের ‘বলা বাহুল্য’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
সোমবার বিকেলে এই গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমার মনে হয় এই বই পড়ে জীবনদর্শন সম্বন্ধে অনেক কিছু শেখা যাবে। বইটির লেখক জীবনধারণের কিছু মৌলিক তত্ত্ব অত্যন্ত সহজ করে আমাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আইনের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে নতুন সত্তা নিয়ে নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য লেখককে সাধুবাদ জানান প্রধান বিচারপতি ড.
প্রধান বিচারপতির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে লেখক ও নির্মাতা সাদাত হোসাইন, অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী, স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন, রিসার্চ এন্ড রেফারেন্স অফিসার হাসান মো. আরিফুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামসহ সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জিনদের আবাস
হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) ‘কার’-বিশিষ্ট ভূমিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করছেন। কারণ সেটা জিনদের আবাসস্থল। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘কার’ কি? তিনি বলেন, ঘন ঝাড়-জঙ্গল, গাছপালা ঘেরা নিম্নাঞ্চল। এ ছাড়া জনবসতির শৌচাগার, গোসলখানা, নোংরা ও অপবিত্র স্থান, আবর্জনার স্তূপ এবং কবরস্থানে দুষ্ট জিন-শয়তান বিচরণ করে। তিনি বলেছেন, ‘নিশ্চয় শৌচাগারে দুষ্ট জিন-শয়তান উপস্থিত থাকে। তাই তোমরা যখন সেখানে প্রবেশ করবে তখন বলবে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিলান খুবুসি ওয়াল খবাইস।’ অর্থাৎ, আমি আল্লাহর কাছে যাবতীয় দুষ্ট পুরুষ ও নারী জিন ও শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৬)
হাদিস অনুযায়ী শৌচাগার হলো, যেখানে নাপাক থাকে বা শরীর বস্ত্রহীন করতে হয়, সেসব জায়গায় শয়তানের আনাগোনা থাকে। মানুষকে বিবস্ত্র করা শয়তানের অন্যতম একটি কাজ। কারণ আল্লাহর এবং বান্দার মধ্য আবরণ হলো লজ্জা। আদম ও হাওয়া (আ.) যখন আল্লাহর আদেশ অমান্য করেছিলেন, প্রথমেই তাদের শরীর থেকে জান্নাতের পোশাক খুলে গিয়েছিল।
আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫নবীজি (সা.) মাটির গর্তে প্রস্রাব করতে নিষেধ করেছেন। এতে জিনদের বসবাসের স্থান।’ (আবুদাউদ, হাদিস: ২৯)
কবরস্থানে জিনেরা সাধারণত মানুষের মতোই যাতায়াত করে। আবার কখনো অবস্থান করে দীর্ঘদিন। ভালো-মন্দ সব ধরনের—এমনকি সেখানে দুষ্ট প্রকৃতির জিন-শয়তানরাও অবস্থান করে।
একটা ভুল ধারণা লোকসমাজে প্রসিদ্ধ আছে, ‘বদকারদের কবরের আজাবের ভয়ে জিনেরা কবরস্থানে থাকে না।’ অথচ নবীজি বলেছেন, ‘অতঃপর তার জন্য লোহার বিশাল হাতুড়িধারী একজন অন্ধ ও বধির ফেরেশতা নিযুক্ত করা হয়। সেই ফেরেশতা ওই হাতুড়ি দিয়ে অবিশ্বাসীকে এমন জোরে আঘাত করে; যার আওয়াজ মানুষ ও জিন ছাড়া পূর্ব-পশ্চিমের সব সৃষ্টি শুনতে পায়।’ (আবু দাউদ, ৪,৭৫৩)
এ ছাড়া বাজার ও দোকানপাটে দুষ্ট জিন-শয়তানের আনাগোনা বেশি থাকে। আল্লাহর রাসুল (সা.) জানিয়েছেন, ‘বাজারে শয়তান তার যুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করে।’ (মুসলিম, হাদিস: ২,৪৫১)
আরও পড়ুনএকদল জিন পবিত্র কোরআন শুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন২০ নভেম্বর ২০২৩