বাগেরহাটে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
Published: 13th, January 2025 GMT
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাদশা মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যানকে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিতলমারী থানার ওসি এসএম শাহাদত হোসেন।
ওসি শাহাদত হোসেন বলেন, “বাদশা মিয়া ২০২৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি উপজেলার আড়ুয়াবর্নি গ্রামের ব্যবসায়ী শামীম শেখের বাড়িতে হামলা চালিয়ে চাঁদার দাবিতে লুটপাট, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করেন। এ ঘটনায় চিতলমারী থানায় তখন একটি মামলা হয়। এরপর তিনি (বাদশা মিয়া) দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি তার এলাকায় ফিরে আসার খবর আসে। গতকাল রবিবার রাতে উপজেলার নালুয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
আরো পড়ুন:
যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
মগ লিবারেশন পার্টির সদস্য অস্ত্রসহ আটক
তিনি আরো বলেন, “বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে চিতলমারী থানাসহ ঢাকার যাত্রাবাড়ি ও গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় হত্যা, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি, হামলা-ভাঙচুর এবং লুটপাটসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। তিনি চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শামীম শেখ বলেন, “বহুদিন ধরে তার (বাদশা মিয়া) নেতৃত্বে আমরা নানাভাবে নিপীড়িত হয়েছি। তিনি এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য আতঙ্ক হয়ে উঠেছিলেন। তিনি গ্রেপ্তার হওয়ায় আমরা মুক্তির স্বাদ পেয়েছি।”
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’