বই তাঁর খুব প্রিয়সঙ্গী সব সময়ই, বললেন প্রধান বিচারপতি
Published: 13th, January 2025 GMT
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বই তাঁর খুব প্রিয়সঙ্গী সব সময়ই, যেকোনো বই। ‘বলা বাহুল্য’ শিরোনামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আজ সোমবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।
‘বলা বাহুল্য’ বইয়ের লেখক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার (জেলা ও দায়রা জজ) হাসানুজ্জামান রিপন, এটি তাঁর লেখা প্রথম গ্রন্থ। প্রধান বিচারপতি গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন। প্রধান বিচারপতির সম্মেলনকক্ষে বেলা তিনটায় গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, গ্রন্থের গুরুদক্ষিণা অধ্যায় পড়ার মধ্য দিয়ে শুভসূচনা হয় বইটি পড়ার। সেখানে একাধারে বিচারক, শিক্ষক, দার্শনিক ও সাহিত্যিক হাসানুজ্জামান রিপনের (লেখক) সঙ্গে তাঁর নতুন করে পরিচয় হলো। এত দিন পরিচিত ছিলেন বিচারক হিসেবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বই আমার খুব প্রিয়সঙ্গী সব সময়, যেকোনো বই। যখন বইটি পড়া শেষ হয়ে যায়, যখন রেখে দিতে হয়, তখন বিচ্ছেদের একটা দুঃখ হয়।’
বইটি পড়ে জীবনদর্শন সম্বন্ধে অনেক কিছু শেখা যাবে লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে—এমনটা মনে করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি বলেন, জীবনধারার কিছু মৌলিক তত্ত্ব লেখক অত্যন্ত সহজ করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
গ্রন্থের লেখককে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সমষ্টিগতভাবে আমাদের এই যে আইনের জগতের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে নতুন সত্তা নিয়ে নিজেকে (গ্রন্থের লেখক) সবার সামনে তুলে ধরছেন, সে জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি। সবাই সেটি করতে পারেন না।’ ভবিষ্যতেও লেখক তাঁর সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে দেশকে পৃথিবীর দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
এ সময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা, অন্যপ্রকাশের কর্ণধার মাজহারুল ইসলাম, কথাসাহিত্যিক সাদাত হোসাইন, গ্রন্থের লেখক আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার (জেলা ও দায়রা জজ) হাসানুজ্জামান রিপন ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কথা-কাটাকাটি থেকে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
বগুড়া শহরের মালতিনগর এলাকায় দুবৃর্ত্তদের ছুরিকাঘাতে পারভেজ আলম নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে মালতীনগর আর্ট কলেজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পারভেজ আলম মালতীনগর খন্দকারপাড়া এলাকার জহুরুল আলমের ছেলে।
স্থানীয় একটি দোকানে কাজ করতেন পারভেজ আলম। কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুবৃর্ত্তরা। আশপাশের লোকজন পারভেজকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণ করেন।
বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) একেএম মঈন উদ্দিন বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছে বলে জেনেছি। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।