বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন-বিএডিসি (সেচ) বিভাগের অধীনে মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের কালীশংকরপুর এলাকায় বিএডিসি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুদক। 

দুদকের সমন্বিত কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল অভিযানে নেতৃত্ব দেন। 

আরো পড়ুন:

মোরেলগঞ্জে কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে দুদকের অভিযান 

অভিযোগ রয়েছে, মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ টাকার সিংহভাগই অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করা হয়েছে। চার বছরে প্রকল্পটির খাতা-কলমে অগ্রগতি ৭৫ ভাগ হলেও মাঠ পর্যায়ে তার অস্তিত্ব নেই। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যে ১৯২ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। প্রকল্পটির বিরুদ্ধে সরকারি টাকা নয়-ছয় এবং মাঠ পর্যায়ে কাজের অস্তিত্ব না থাকায় দুদকে অনুসন্ধানের জন্য একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে।

দুদকের সমন্বিত কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল বলেন, “মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্পে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বিএডিসি অফিসে অভিযান চালিয়েছি আমরা। মাঠ পর্যায়েও আমরা তদন্ত করব। অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।” 

এ বিষয়ে মুজিব নগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী ও বর্তমান প্রকল্প পরিচালক আলী আশরাফের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি

সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছেরও। এতে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।

কয়েকজন ক্রেতা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে যে স্বস্তি ছিল, তা এখন আর নেই। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনটির দাম একশো পেরিয়েছে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, করলা, বেগুন, বরবটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।

সবচেয়ে বেশি দাম দেখা গেছে কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।

তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে।

এদিকে, মাছের বাজারেও বাড়তি দাম দেখা গেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ও চাষের মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশ ও চিংড়ির দাম।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিকেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে এসব মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা, চাষের রুই, তেলাপিয়া,পাঙাশ ও পুঁটি মাছও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।

ঢাকা/সুকান্ত/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ