এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরও ৩ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী, উচ্চতর স্কেল পাবেন ২৮৪২ জন
Published: 13th, January 2025 GMT
দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজে নতুন নিয়োগ পাওয়া তিন হাজার ২০৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি)। তাদের মধ্যে স্কুলে দুই হাজার ৫৭৯ জন এবং কলেজের ৬২৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। একই সঙ্গে সারাদেশের ২ হাজার ৮৪২ জনকে উচ্চতর স্কেল ও ১৩০ জন স্কুল শিক্ষককে বিএড স্কেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাউশির এমপিও কমিটি।
রোববার মাউশির জানুয়ারি মাসের এমপিও (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পদাধিকার বলে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড.
কোন অঞ্চলের কতজন এমপিওভুক্ত
সভায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, স্কুলের ৩ হাজার ২০৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ১৩০, চট্টগ্রামের ১২৭, কুমিল্লার ১৪৮, ঢাকার ৭২৬, খুলনার ৩৭৭, ময়মনসিংহের ১৬৪, রাজশাহীর ৬৬৮, রংপুরের ১৭৫ এবং সিলেটের ৬৪ জন তালিকায় রয়েছেন।
অন্যদিকে কলেজের ৬২৭ শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৪৫, চট্টগ্রামের ৪৩, কুমিল্লার ৫২, ঢাকার ১০১, খুলনার ৭৭, ময়মনসিংহের ৬৭, রাজশাহীর ৭৬, রংপুরের ১১০ এবং সিলেট অঞ্চলের ৫৬ জন রয়েছেন।
উচ্চতর স্কেল পাচ্ছেন ২৮৪২ জন
বেসরকারি স্কুল-কলেজের ২ হাজার ৮৪২ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে উচ্চতর গ্রেড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমপিও কমিটি। তাদের মধ্যে স্কুলের ২ হাজার ৩৫৯ জন এবং কলেজের ৪৮৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।
সভায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, উচ্চতর গ্রেড পাওয়া স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৩৩১, চট্টগ্রামের ১২৩, কুমিল্লার ৯৭, ঢাকার ৫০২, খুলনার ৪২৫, ময়মনসিংহের ১৪৯, রাজশাহীর ৪৬৯, রংপুরের ১৭৩ এবং সিলেটের ৯০ জন রয়েছেন।
অন্যদিকে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৩৯, চট্টগ্রামের ১৭, কুমিল্লার ৪১, ঢাকার ৪৮, খুলনার ২৬, ময়মনসিংহের ৯, রাজশাহীর ২৪৭, রংপুরের ৩৯ ও সিলেট অঞ্চলের ১৭ জন রয়েছেন।
বিএড স্কেল পাবেন ১৩০ জন
সরকারি স্কুলে কর্মরত ১৩০ জন শিক্ষককে বিএড স্কেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএড স্কেল পাওয়া স্কুল শিক্ষকের মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৬ জন, চট্টগ্রামের ৫, কুমিল্লার ৯, ঢাকার ৬৪, খুলনার ১৫, ময়মনসিংহের ৫, রাজশাহীর ১৪, রংপুরের ১১ এবং সিলেট অঞ্চলের ১ জন শিক্ষক আছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কয়েক লাখ মুসল্লির সমাগমে জনসমুদ্র শোলাকিয়া, শান্তি কামনা করে মোনাজাত
ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে এসেছিলেন আবদুল মতিন। কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে স্বস্তিতে নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবারও শোলাকিয়ায় নামাজ আদায় করে মাহবুবুর রহমান বাড়ি ফেরার সময় বলেন, ‘এর আগে কখনো এত মুসল্লি শোলাকিয়ায় দেখিনি। বড় মাঠে দোয়া কবুল হয়, সেই বিশ্বাসেই ১০ বছর বয়স থেকে এলাকার লোকদের সঙ্গে শোলাকিয়ায় নামাজ পড়তে আসতাম। মাঝখানে নানা কারণে আসা হয়নি। তবে এবার নামাজ পরে অনেক শান্তি পেয়েছি। আল্লাহ যত দিন বাঁচিয়ে রাখেন তত দিনই আসব।’
৮৫ বছর বয়সী মো. সুরুজ আলী। তিনি জানালেন, তিনি পাকিস্তান আমল থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ পড়তে আসেন। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দায়। প্রতিবারের মতো এবারও এক দিন আগে তিনি শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ পড়তে চলে এসেছেন। সুরুজ আলী জানান, বড় মাঠে বেশি সওয়াব ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় তিনি প্রায় ৬৫ বছর ধরে শোলাকিয়া ঈদগাহে আসছেন।
শুধু সুরুজ আলী নন, দেশের নানা প্রান্ত থেকে কয়েক শ লোক শোলাকিয়ায় ঈদের নামাজ পড়তে দু–এক দিন আগেই চলে আসেন। ঐতিহাসিক এ ঈদগাহে নামাজ পড়বেন বলে চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে মফিজুর রহমান নামের একজন গত শনিবার সকালেই কিশোরগঞ্জে চলে আসেন। তিনি পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক প্রবাসী। ২০-২৫ বছর থেকে তাঁর ইচ্ছা ছিল শোলাকিয়ার ঈদগাহে নামাজ পড়বেন। কিন্তু দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় সময়–সুযোগ হয়ে ওঠে না। তাই এবার মোজাম্বিক থেকে নিয়ত করেই দেশের বাড়িতে আসেন এবং সেখান থেকে শোলাকিয়ায় চলে আসেন। নামাজ শেষে তিনি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন।
শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়কে বিভিন্ন জেলা থেকে দুয়েকদিন আগেই কিশোরগঞ্জ সদরে চলে আসেন অনেকে। তাঁরা রাত্রী যাপন করেন রোববার রাতে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া বাগে জান্নাত গোরস্তান মসজিদে