পটুয়াখালীর পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তরা ৯ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এ সময় তারা ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদুল আলম ও প্লান্ট ম্যানেজার শাহ আবদুল মাওলার অপসারণসহ গ্রেপ্তারের দাবি জানান। 

সোমবার দুপুর তিনটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রবেশের সড়কে টিয়াখালী বাজারসংলগ্ন এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগীরা। 

অবস্থান কর্সসূচি চলাকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সময় কর্মকর্তারা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি দেবে। কিন্তু স্থানীয় কাউকেই চাকরি দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া জমির খুব কম মূল্য দিয়েছে এবং কর্মকর্তারা ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। 

এ সময় দুই কর্মকর্তাকে অপসারণসহ দাবি মানা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি। 

আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য রবিউল আউয়াল অন্তর বলেন, ‘‘পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সময় কর্মকর্তারা ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও দাবি বাস্তবায়ন করেনি তারা। আমাদের দাবি মানা না হলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচিসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’’

এ বিষয়ে জানতে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্ল্যান্ট ম্যানেজার শাহ আবদুল মাওলার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে প্ল্যান্টের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আবদুল হাসিব জানিয়েছেন তিনি এ বিষয়ে কিছুই অবগত নন। 

ইমরান//

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুনে তদন্ত কমিটি গঠন

পটুয়াখালীর ধানখালীতে সদ্য চালু হওয়া পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্ক্র্যাপ শেডে অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল হালিমকে এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) শওকত ওসমান ও ডেপুটি ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম।

আগামী দুই কার্য দিবসের মধ্যে এ কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির অপর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন। 

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২০ একর এরিয়ার স্ক্র্যাপ শেডে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি টিম, নৌ-বাহিনীর একটি টিম ও সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় রাত এগারোটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) ও তদন্ত কমিটির সদস্য শওকত ওসমান বলেন, “তদন্ত কমিটি গঠনের পরই আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। আশা করছি দুই দিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা যাবে।”

পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মূল প্লান্টের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রমে কোন বিঘ্ন ঘটেনি। জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে মূল্যবান কোন যন্ত্রপাতির ক্ষয়ক্ষতি না হলেও পরিত্যক্ত বেশ কিছু স্ক্র্যাপসহ লোহা-লক্কর পুড়ে গেছে।

ঢাকা/ইমরান/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটুয়াখালীতে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুনে তদন্ত কমিটি গঠন
  • পটুয়াখালী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুন নিয়ন্ত্রণে
  • ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ জানাল মন্ত্রণালয়