পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থান কর্মসূচি
Published: 13th, January 2025 GMT
পটুয়াখালীর পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তরা ৯ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এ সময় তারা ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদুল আলম ও প্লান্ট ম্যানেজার শাহ আবদুল মাওলার অপসারণসহ গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সোমবার দুপুর তিনটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রবেশের সড়কে টিয়াখালী বাজারসংলগ্ন এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগীরা।
অবস্থান কর্সসূচি চলাকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সময় কর্মকর্তারা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি দেবে। কিন্তু স্থানীয় কাউকেই চাকরি দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া জমির খুব কম মূল্য দিয়েছে এবং কর্মকর্তারা ব্যাপক দুর্নীতি করেছে।
এ সময় দুই কর্মকর্তাকে অপসারণসহ দাবি মানা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য রবিউল আউয়াল অন্তর বলেন, ‘‘পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সময় কর্মকর্তারা ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও দাবি বাস্তবায়ন করেনি তারা। আমাদের দাবি মানা না হলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচিসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’’
এ বিষয়ে জানতে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্ল্যান্ট ম্যানেজার শাহ আবদুল মাওলার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে প্ল্যান্টের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আবদুল হাসিব জানিয়েছেন তিনি এ বিষয়ে কিছুই অবগত নন।
ইমরান//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে : মাজেদুল
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেছেন, আমরা অনেকেই নামাজ পড়ি, কিন্তুু সুদখাই, আমরা নামাজ পড়ি ঘুষখাই, আমরা নামাজ পড়ি নেশার সাথে জড়িত, আমরা নামাজ পড়ি মাদক ব্যবসা করি, আমরা নামাজ পড়ি আবার অন্যেও হক মেরে খাই, আমরা দুর্বল মানুষের উপর জুলুম করি, আমি মনে করি আমাদের এই নামাজ কোন কাজে আসবে না।
আগে আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে। আমার মনের ভিতরে এমন বাসনা আনতে হবে যে আমি নামাজ পড়বো মানুষের হক মেরে খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো সুদ খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো ঘুষ খাবোনা, আমি দুর্বলের উপর জুলুম করবোনা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি দক্ষিনপাড়া যুব ও কিশোর সংঘের উদ্যোগে কবরবাসীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ১৫তম বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আজকে আমারা এখান থেকে ওয়াজ শুনে গেলাম জামাতের সাথে ফজর নামাজ পড়লাম না, তাহলে এই ওয়াজ শুনে আমাদের কোন ফয়দা হবে না। আমরা এখানে এসেছি শিখতে, আমরা এখান থেকে শিখবো এবং তা পালন করবো। আমি জানি এই এলাকায় অনেকেই অসহায়দের উপর জুলুম করে, অনেকেই মাদক ব্যবসা করে।
আল্লাহতালা যদি আমাকে কোনদিন সুযোগদেন আমি কিন্তুু আপনাদের ছাড়বো না, নেশার সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা। নেশার ব্যবসা যারা করে তাদের সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা, তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আমি যতোদিন বেচে থাকবো আপনাদের সেবা করে যাবো, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যতোদিন বেচে থাকবো এলাকার উন্নয়নে কাজ করবো।
বাইতুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি হাজী বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন মাওলানা গাজী সোলাইমান আল-কাদরী। বিশেষ বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন হযরত মাওলানা মুফতি বেলাল আহমদ ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ আমানুল্লাহ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইতুল আতিক জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ ওমর আলী, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড্যাঃ মাসুদুজ্জামান মন্টু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক কামরুল হাসান শরীফ, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান, হাজী নুরুল ইসলাম ও লোকমান হোসেন প্রমূখ। মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা মিজানুর রহমান।